কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জলপাইগুড়িতে ৩১ডি জাতীয় সড়ক ধরে তিস্তা সেতু পেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর এদিন ওই গাড়িটি পুলিস আটক করে। গাড়ির থেকে কুমড়ো সরাতেই গাঁজার বস্তা সামনে আসে। পুলিস জানিয়েছে, মোট ১০০ কেজি গাঁজা এদিন মিলেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম, আশিস মণ্ডল ও সুমন মাঝি। এদের দু’জনেরই বাড়ি নদীয়া জেলার তেহট্ট ও কালিগঞ্জ থানা এলাকায়। গাঁজাগুলি ধূপগুড়ি থেকে নদীয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে। ধূপগুড়ি বাজারের পাশে কোনও একটি জায়গা থেকে ছোট ট্রাকে গাঁজাগুলি তোলা হয়েছিল। পুলিস ধৃতদের প্রথামিক জিজ্ঞাসাবাদ এ কথা জানতে পেরেছে। এর আগের দু’দিন কোচবিহারের মাথাভাঙা থেকে গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিল। রাস্তায় নাকা চেকিংয়ের পরেও কিভাবে এত বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাচার করা হচ্ছে তা নিয়ে পুলিসও কিছুটা ধন্দে রয়েছে।
জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার অভিষেক মোদি বলেন, সবটাই তদন্ত চলছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইন মেনে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
কোচবিহারের পুলিস সুপার সন্তোষ নিম্বালকর বলেন, কোচবিহার জেলাতেও এরআগে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রচুর গাঁজার খেত নষ্ট করেছি। গাঁজা পাচারের রুট আমরা ভেঙে দেব।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুরে তিস্তা সেতু সংলগ্ন এলাকায় ভুট্টা বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান থেকে পুলিস গাঁজা উদ্ধার করেছিল। ওই ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার হয়। ধৃতের বাড়ি মুর্শিদাবাদের রানিনগরে। সেদিন উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমাণ ছিল ১২০ কেজি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ছিল ১২ লক্ষ টাকা। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারেন, ওই গাঁজার প্যাকেট কোচবিহারের মাথাভাঙা থেকে মালদহে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এরআগে গত রবিবার একই জায়গায় একটি লঙ্কা বোঝাই গাড়ি থেকে পুলিস গাঁজা উদ্ধার করেছিল। ওই গাড়িটি মাথাভাঙা থেকে বিহারের দিকে যাচ্ছিল। ওই ঘটনায় ধৃত দু’জনের বাড়ি দিনহাটার গোসানিমারিতে। সেদিন পুলিস গাড়িটিকে আটকাতে গেলে চালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পরে ধাওয়া করে পুলিস চালক ও খালাসিকে ধরে ফেলেছিল। সেদিন মোট ৭৫ কেজি পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ন’লক্ষ টাকা ছিল।