কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ওড়িষা, অসম প্রভৃতি রাজ্য থেকে ময়নাগুড়িতে মাছের গাড়ি আসে। সেই মাছ ময়নাগুড়ি ব্লকে শুধু নয় ধূপগুড়ি ও ডুয়ার্সেও যায়। পাইকারি বিক্রেতারা সেই মাছ নিয়ে যান। প্রায় ৫০০ কার্টন মাছ প্রতি সপ্তাহে ময়নাগুড়ি বাজারে ঢুকত। এক একটি কার্টনে ৪০ কেজি মাছ থাকে। বর্তমানে সেই মাছ না আসায় ব্যবসায়ীরা চিন্তায় পড়েছেন।
ময়নাগুড়ি পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবজ্যোতি সরকার বলেন, ময়নাগুড়ি বাজারে বাইরের রাজ্য থেকে সপ্তাহে যে ৫০০ কার্টন মাছ আসত এখন তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাইরের রাজ্য থেকে গাড়িতে যে মাছ লোড করা হবে সেই কাজে শ্রমিকের সমস্যা রয়েছে। পুকুর থেকে মাছ তোলা, সেই মাছ গাড়িতে প্যাকেটিং করার শ্রমিক নেই। লক ডাউনের প্রথম দিকে যে কয়েকটি গাড়ি ঢুকেছিল সেই গাড়ি খালি করা হচ্ছে। অল্প কিছু মাছ নিয়ে ব্যবসা চলছে। এছাড়াও বাজারে লোকাল মাছ কিছুটা চাহিদা পুরণ করছে। স্থানীয় পুকুরের রুই,কাতলা, শিঙ্গি, মাগুর সহ অন্যান্য মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাইরের মাছ বাজারে না ঢোকায় দাম একটু বৃদ্ধি পেয়েছে একথা সত্য।
জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মৎস্য বিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেন, আমি নিজে মাছ চাষিদের নিয়ে একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ করেছি। এই গ্রুপে চাষিদের বলা হয়েছে আপনারা মাছ তুলে বাজারে নিয়ে আসুন। প্রতিদিন ময়নাগুড়ির কৃষক বাজারে লোকাল মাছের অকশন হয়। সেখানে তাঁদের নিয়ে যেতে বলেছি। তবে সমস্যা হল অনেক চাষি কম পরিমাণ মাছ নিয়ে যাচ্ছেন। এবং বেশ কিছু মাছ তাঁরা নিজেদের জন্য পুকুরেই রেখে দিচ্ছেন। এব্যাপারে তাঁদের বলব বেশি মাছ রাখার প্রয়োজন নেই। যেহেতু বাইরের গাড়ি আসছে না সে কারণে সকলকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন খাদ্য যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। সুতরাং ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলব বেশি পরিমাণ মাছ কিনে মজুত করার প্রয়োজন নেই। শিঙ্গি, মাগুর,রুই,কাতলাসহ অন্যান্য মাছের জোগান বাজারে ভালোই রয়েছে।