কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে, জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণে করোনা হাসপাতাল গড়ে তোলার কাজ জোরকদমে চলছে। বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের সেখানে উপস্থিত থেকে কাজকর্ম তদারকি করতে দেখা যায়। করোনার সংক্রমণ রুখতে শহরের একের পর এক বাজারকে এক জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিন শহরের পাণ্ডাপাড়ার বউবাজারের সব্জি মার্কেট সরিয়ে অন্যত্র বসানো হয়। লকডাউনে গৃহবন্দি মানুষের একঘেয়েমি কাটাতে বুধবারের পর এদিনও পুলিসের পক্ষ থেকে শহরের বহুতল আবাসনে গিয়ে গান শোনানো হয়।
এদিন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে মৃত মহিলার সংস্পর্শে আসা সাতজনের সোয়াব টেস্টের জন্য মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা সকলেই সেকেন্ডারি কন্টাক্টে ছিলেন। সেই পীরক্ষায় প্রত্যেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাঁদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ছেড়ে দেব। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, তাঁরা আরও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
সম্প্রতি চেন্নাই থেকে কালিম্পংয়ে ফেরা এক মহিলা করোনা আক্রান্ত হন। তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কিন্তু, অসুস্থ হওয়ার পর তাঁর সংস্পর্শে আসা বেশ কয়েকজনকে তারপর জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত মহিলার সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন কয়েকজনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এসে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তাঁদের সোয়াব টেস্ট করতে মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
করোনায় মৃত মহিলার আত্মীয়দের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসার পর এখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলেও চর্চাও শুরু হয়েছিল। রিপোর্ট নেগেটিভ আসতেই সকলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। এদিকে, আগেই বলা হয়েছিল বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণে করোনা হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকেরা গত ক’দিন ধরে তার প্রস্তুতি দফায় দফায় খতিয়ে দেখছেন। এদিন তাঁরা সেখানে যান। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, এর মধ্যেই সমস্তরকম সরঞ্জাম এনে হাসপাতালটি প্রস্তুত করে রাখা হবে।
এদিকে, করোনার সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তারজন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা প্রথম থেকে বলা হলেও জলপাইগুড়ি শহরের অনেক জায়গাতেই তা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এদিনও অনেক জায়গায় সেই নিয়ম উপেক্ষো করে মানুষ হাটবাজার করে। কোথাও রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার নিতে কোথাও মাছের বাজারে তা দেখা গিয়েছে। আগেই শহরের দিনবাজারের সব্জি মার্কেট সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বুধবার স্টেশন বাজার সরানো হয়। এদিন বউবাজারের সব্জি, ফলের দোকানগুলিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসানো হয়। পুলিস ও প্রশাসনকে এসব কঠোরভাবে দেখার দাবি সমাজ সচেতন নাগরিকরা জানিয়েছেন।