কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গৃহশিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। আবার কেউ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্লাস করাচ্ছেন। সেইসঙ্গে ইতিমধ্যেই বালুরঘাট মহাবিদ্যালয় এবং বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয়ে অনলাইন ই-পোর্টালে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনে পাওয়ার পয়েন্টে নানারকম প্রজেক্ট বানিয়েও ক্লাস করাচ্ছেন কলেজের শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, এই অভিনব কায়দায় পড়াশোনায় ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া মিলছে।
এবিষয়ে বালুরঘাটের এক গৃহশিক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, লকডাউনের জেরে অনেকেরই পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় আর কোনও উপায় খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত অনলাইনে পড়ানো শুরু হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের হোম টাস্ক ও নোটস দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও কলেজের অনার্সের ছাত্র-ছাত্রীদের আলাদা গ্রুপ বানিয়ে নোট দিচ্ছি। যাদের বুঝতে সমস্যা হচ্ছে, তারা ফোন করলে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
বালুরঘাট কলেজের শিক্ষক কাউন্সিলের সম্পাদক রিপন সরকার বলেন, আমাদের কলেজের গ্রাজুয়েশন এবং পিজি সব বিভাগেই অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। কলেজের ওয়েবসাইটে নানারকম নোটস এবং স্টাডি মেটেরিয়াল দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। লকডাউন যতদিন চলবে, ততদিন আমরা এভাবেই চালিয়ে যাব। পরবর্তীতে কী করা হবে, তা তখন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বালুরঘাট কলেজের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক প্রলয় সরকার বলেন, আমি একটি ই-পোর্টালের মাধ্যমে আমাদের বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ক্লাস করাচ্ছি। অন্যদিকে, ওই কলেজের কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান শুভাশিস বিশ্বাস বলেন, প্রয়োজনে পাওয়ার পয়েন্টেও নানারকম প্রোজেক্ট তৈরি করে প্রাক্টিক্যাল ক্লাস চলছে।
এবিষয়ে কেমিস্ট্রি বিভাগের এক ছাত্র পরন্তপ সরকার বলেন, মনোযোগ ঠিক থাকলে অনলাইনেও ভালো পড়া হয়। এক্ষেত্রে আমাদের অনলাইলের ক্লাসে সমস্যা হচ্ছে না।
অন্যদিকে, এবিষয়ে বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল বিমান চক্রবর্তী বলেন, আমাদের কলেজের সব বিভাগেই অনলাইনের পড়াশোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ছাত্রীরা ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেদের বিভাগ ও সেমেস্টার উল্লেখ করলেই যাবতীয় নোটস পেয়ে যাবে। মহিলা মহাবিদ্যালয়ের এক ছাত্রী পায়েল দাস বলেন, বাড়িতে থেকেই অনলাইনের নোটস পেয়ে যাচ্ছি। কলেজ থেকেও পাচ্ছি আবার গৃহশিক্ষকের কাছ থেকেও পাচ্ছি। খুব সুবিধা হচ্ছে।
লকডাউনের ফলে পরীক্ষার আগে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে গিয়ে বা গৃহশিক্ষকের কাছে গিয়ে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় একমাত্র ভরসা অনলাইন পড়াশোনা। বালুরঘাট শহরের একাধিক গৃহশিক্ষক অললাইনে ক্লাস করাচ্ছেন। অনলাইনেই তাঁরা নোটস দিচ্ছেন, হোমওয়ার্ক করাচ্ছেন। কলেজগুলিতেও একই পদ্ধতিতে পঠনপাঠন চলছে। তবে সমস্যায় পড়েছেন খুদে পড়ুয়াদের শিক্ষক তথা বেকার যুবক-যুবতীরা। লকডাউনের জেরে বাড়িতে পড়াতে যেতে পারছেন না। একদম ছোটদের অনলাইনেও ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়। অনেকে আবার ছোটদের টিউশন পড়িয়েই নিজের পড়াশোনার খরচ চালান। এখন বেতন নিয়ে চিন্তায় পড়েছে বালুরঘাটের একাধিক গৃহশিক্ষক।
এবিষয়ে এক গৃহশিক্ষক সুমিত বোস বলেন, বড়দের অনলাইনে ক্লাস করানো যায়। কিন্তু ছোটদের কীভাবে অনলাইনে পড়াব? আর এমাসে পড়াতে না পারলে বেতনও পাব না।