বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরে মোট ২৩টি বিষয় রয়েছে। ওইসব বিষয়ের প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই হওয়ার কথা ছিল। তারমধ্যে দু’টি বিষয়ের পরীক্ষা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২১টি বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ফলে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রছাত্রীরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। সময়ে পরীক্ষা না হওয়ায় ফল প্রকাশেও বিলম্ব হবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী সেমেস্টারে পঠনপাঠনে এই বিলম্ব গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা।
এদিকে, স্নাতক স্তরের ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেমের’ (সিবিসিএস) আওতায় সমস্ত বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। তবে বিভিন্ন কলেজের প্রায় ৪০০ জন পরীক্ষার্থীর প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা আটকে রয়েছে। তা বর্তমান পরিস্থিতির জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ওই চারশো জন পরীক্ষার্থীর জন্য প্রায় ৪৫ হাজার ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষার ফলপ্রকাশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ, বাকিরা পরীক্ষা দিয়ে ফের পঠনপাঠন শুরু করে দিয়েছেন। সময়ে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা হলে দ্রুত ফল প্রকাশের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিতে পারত। কিন্তু সেসব কার্যত বিশবাঁও জলে চলে গিয়েছে। আপাতত বেশ কিছুদিন পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে কোনও আশার আলো কর্তৃপক্ষ দেখতে পাচ্ছে না। ফলে পরীক্ষাপর্ব সম্পন্ন হতেই আরও প্রায় দু’মাস সময় লেগে যাবে বলে অধ্যাপকদের একাংশ মনে করছে। সেক্ষেত্রে ফল প্রকাশ কবে হবে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, স্থায়ীকরণ সহ অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে গত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীরা কর্মবিরতিতে অংশ নেন। ওইসময় স্নাতক স্তরের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কর্মবিরতির জেরে পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। ফলে ৪৫ হাজার পড়ুয়া চরম বিড়ম্বনায় পড়েন। ফের করোনার জেরে তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এভাবে চললে আগামী দিনে তাঁদের পঠনপাঠনের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে বলে অনেকে মনে করছেন।
এক ছাত্র বলেন, এমনিতেই গণ্ডগোল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিত্যসঙ্গী। ঝামেলার জেরে সারা বছরই কমবেশি পঠনপাঠন ব্যাহত হয়। এভাবে চললে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি। কর্তৃপক্ষের বিষয়টি ভাবা উচিত। সময়ে সবকিছু হলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। এক অধ্যাপক বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা শুরু না হওয়ায় সমস্যা দেখা দিল। সময়ে তা শুরু হলে এতদিন ফল প্রকাশের সময় হয়ে যেত। এর দায় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।