রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কোচবিহার শহরের পাশাপাশি জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রচুর পুণ্যার্থী প্রতিদিন পুজো দিতে মদন মোহন মন্দিরে আসতেন। এখন লকডাউন চলায় কেউই মন্দিরে এসে প্রাণের ঠাকুর মদন মোহনের পুজো দিতে পারছেন না। চিরাচরিত প্রথা মেনে অন্যান্য সময়ের মতো ঠাকুরের নিত্য পুজো, ভোগ নিবেদন নিয়ম মেনেই চলছে। তবে মন্দিরে ভক্ত সমাগম না হওয়ায় খাঁ খাঁ করছে পুরো চত্বর। ভক্তরা যাতে বাড়িতে থেকেই অনলাইনে পুজো দিতে পারেন সেজন্য অবিলম্বে যাবতীয় ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।
ভক্তদের দাবি, অনলাইনে পুজোর ব্যবস্থা চালু করা হলে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকেই পুজো দেওয়া যাবে। তাছাড়া অনেকেই কর্মসূত্রে জেলার বাইরে থাকেন। তাঁরাও অনলাইনের মাধ্যমে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি প্রাণের ঠাকুর মদন মোহনকে দর্শন করতে পারবেন। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে অনলাইনে পুজোর ব্যবস্থা করার জন্য বরাত দেওয়া হয়েছিল। সেই সংস্থার তরফে কাজ শেষ করে ২০১৪ সালের ২৯ মে থেকে মদন মোহন মন্দিরে অনলাইন পুজো চালু হয়েছিল। পুজোর জন্য ভক্তদের অনলাইনে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে হতো। সেইসঙ্গে তাঁদের বেশকিছু তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে জানাতে হতো। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে গোত্র, নাম উল্লেখ করে পুজো দিতেন পুরোহিত। গোটা দৃশ্য ভিডিওতে তুলে ভক্তদের ইমেলে পাঠানো হতো। পার্সেলের খরচ দিলে পুজোর শুকনো প্রসাদ, প্রসাদী ফুল পাঠিয়ে দেওয়া হতো। ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত পুজো দেওয়া যেত। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে অনলাইনে পুজোর ব্যবস্থা করলেও তা বেশিদিন চালু রাখা যায়নি।
কোচবিহার শহরের বাসিন্দা প্রাবন্ধিক দেবব্রত চাকি বলেন, লকডাউনের জন্য মানুষ মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে পারছে না। অনলাইনে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে বাড়িতে থেকেই ভক্তরা পুজো দিতে পারবেন। কয়েক বছর আগে অনলাইনে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। ফের সেটা চালুর বিষয়ে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড বিবেচনা করুক। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি জেলাশাসক। তিনি ফের অনলাইনে পুজো চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখে যা ভালো হয় করবেন। কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি তথা জেলাশাসক পবন কাদিয়ানকে একাধিকবার টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় এবিষয়ে তাঁর মন্তব্য জানা যায়নি।