গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, আমরা ১০০ কুইন্টাল চাল জিআর হিসেবে পেয়েছি। তা কাউন্সিলারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে কাউন্সিলারদের ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ওই টাকায় তাঁরা ডাল, সয়াবিন, সাবান ও লবন সহ অন্যান্য সামগ্রী বাজার থেকে কিনে জিআরের চালের সঙ্গে নিজ নিজ এলাকার বিতরণ করবেন। এমনটাই তাঁদের বলা হয়েছে।
ডালখোলা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য সুভাষ গোস্বামী বলেন, আমাদের পুরসভার জন্য ১০০ কুইন্টাইল জিআর চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। ডিলারের কাছে আসলেই আমরা তা রিসিভ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিতরণ শুরু করে দেওয়া হবে। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, আমরা ১০০ কুইন্টাইল জিআর পেয়েছি। এর মধ্যে ৯২ কুইন্টাইল চাল ইতিমধ্যেই কাউন্সিলারদের দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় সেই চাল বিতরণ করবেন। আট কুইন্টাইল চাল হাতে রাখা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে তা বিতরণ করা হবে। কাউন্সিলাররা ইতিমধ্যেই তা বিতরণ করতে শুরু করে দিয়েছেন। কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক পাল বলেন, প্রতিটি পুরসভায় যে পরিমাণ বরাদ্দ হবে আমাদের পুরসভার জন্যও তাই বরাদ্দ হবে। জিআরের হিসেবরক্ষক অফিসার এই মুহূর্তে অফিসে নেই। ফলে সঠিক পরিমাণ বলতে পারছি না।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, লকডাউনের ফলে জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরেরও অনেকেই ভিনরাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছেন। টোটো চালক, চা-পানের দোকানদার, অটোচালক, অসংগঠিত ক্ষেত্রের বহু শ্রমিক কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে গিয়েছেন। অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। লকডাউন যাথাযথ পালনের জন্য শুরুতে পুলিস শক্তি প্রয়োগ করে মানুষকে ঘরে ঢুকিয়েছে। এর ফলে অনেকেই রুজিরুটি নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। রাজ্য সরকারের দেওয়া এই জিআর অনেকেরই খুব কাজে আসবে বলে মনে করছে বিভন্ন মহল। মানুষ যাতে বাড়িতেই থাকেন, সেজন্য প্রশাসন এবং বিভিন্ন সংগঠন একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে অনেক জায়গায়। কাউন্সিলারেরা অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগেও নিজ এলাকায় দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন।