পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার শহরের স্কুল পাড়ায় ক্যাম্প করে পুরাতন মালদহ পুরসভার কর্মীরা উপভোক্তাদের হাতে রেশনের স্পেশাল কুপন তুলে দিয়েছেন। জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহ, ইংলিশবাজার, হবিবপুর, বামনগোলা, চাঁচল মহকুমা সহ ১৫টি ব্লকেই স্পেশাল কুপনের মাধ্যমে উপভোক্তারা রেশন সামগ্রী পাবেন। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই সংশ্লিষ্ট রেশন দোকানগুলি থেকে তাঁরা রেশন সামগ্রী তুলতে পারবেন। এনিয়ে খাদ্য দপ্তরের কর্তারা তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন ব্লকে ব্লকে ইতিমধ্যে কুপন বিলির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এ বিষয়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষ বলেন, ডিজিটাল কার্ডের জন্য আবেদনকারী যে সমস্ত উপভোক্তা এখনও কার্ড হাতে পাননি, তাঁদের কাছে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তার প্রক্রিয়া শহরে শুরু হয়েছে। পুরাতন মালদহ শহরে এরকম প্রায় চার হাজার উপভোক্তা রয়েছেন। তাঁরা আগামী ছয় মাস ধরে রেশন পরিষেবা পাবেন ওই কুপন দেখিয়েই।
জেলার খাদ্য নিয়ামক পার্থ সাহা বলেন, মালদহ জেলাজুড়ে প্রায় দুই লক্ষ ৮০ হাজার উপভোক্তাকে আমরা স্পেশাল কুপনের মাধ্যমে রেশন পরিষেবা দেব। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। মালদহের হবিবপুরের বিডিও শুভজিৎ জানা বলেন, ব্লকজুড়ে প্রায় আট হাজার ব্যক্তি স্পেশাল কুপনের মাধ্যমে রেশন পাবেন। গত বছর ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন বহু ব্যক্তি। সেসব আবেদনকারীদের মধ্যে যাঁদের আবেদন অনুমোদন পেয়েছে, অথচ তাঁরা কার্ড হাতে পাননি, তাঁরাই এই পরিষেবার আওতায় রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহ খানেক ধরে মালদহে লকডাউনের জন্য বিশেষ রেশন প্রদানের ব্যবস্থা শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেবল ডিজিটাল রেশন কার্ডধারীরাই সেই পরিষেবার সুবিধা উপভোগ করতে পেরেছেন। বাকি জেলার লক্ষাধিক উপভোক্তা এখনও রেশন তুলতে পারেননি। সেজন্য তাঁরা সমস্যাতেও পড়েছেন। খাদ্য দপ্তর আগেই জানিগেছিল, প্রথমে ডিজিটাল কার্ডধারীদেরই রেশন দেওয়া হবে। পরে বাকিদের জন্য কুপন দেওয়া হবে। পুরাতন মালদহে সেই কাজই শুরু হয়েছে বুধবার থেকে।