গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
করোনা মোকাবিলায় দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো গত ২৩ মার্চ শিলিগুড়িতেও লকডাউন শুরু হয়েছে। ওই দিনই শহরের রেল কলোনিতে বাণী মন্দির স্কুলে একটি শেল্টার হোম চালু করে প্রশাসন। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশকিছু মানুষকে উদ্ধার করে সেখানে রাখা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, সংশ্লষ্ট হোমে রয়েছে ৬৫ জন। তাঁরা প্রত্যেকেই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তাঁরা এই শহরে এসেছিলেন। লকডাউন লাগুর পর তাঁরা আর বাড়ি ফিরতে পারেননি।
আটকে পড়া ওই মানুষের মধ্যে একজন হলেন অঞ্জলি প্রসাদ। তিনি গর্ভবতী। তাঁর স্বামী মোহন প্রসাদ। উত্তরপ্রদেশে তাঁদের বাড়ি। কর্মসূত্রে বেশ কয়েক মাস আগে এখানে আসে ওই দম্পতি। তাঁরা রেল কলোনিতে একটি মাঠে তাঁবু খাটিয়ে ছিলেন। অঞ্জলিদেবী বলেন, এখন রাজ্যে ফিরতে চাইলেও যেতে পারছি না। করোনা ভাইরাস রুখতে প্রশাসন এখানে রেখে গিয়েছে। এখানে ফল, দুধ, ডিম মিলছে না। সকালে পাউরুটি, বিস্কুট, দুপুরে খিচুড়ি ও রাতে রুটি কিংবা খিচুড়ি মিলছে। এতে কোনও খেদ নেই। এখন বাড়ি যেতে পারলে ভালো লাগে।
তাঁর স্বামী বলেন, এখানে আমাদের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের আরও ২৩ জন আছেন। থাকা ও খাওয়ায় কোনও সমস্যা হচ্ছে না। নিয়মিত ডাক্তারও আসছেন। কিন্তু এখন তো আর নিজের রাজ্যে ফিরতে পারব না। হাতেও তেমন টাকা পয়সা নেই। তাই শুধু স্ত্রীর চিকিৎসা ভালো মতো করানোর দাবি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি।
শুধু উত্তররদেশের বাসিন্দা নয়, সেখানে অসম, সিকিম ও বিহারের বাসিন্দারাও রয়েছেন। তাঁদের কেউ হোটেলে কাজ করতে, আবার কেউ রাজমিস্ত্রির কাজ করতে এখানে এসেছিলেন। শহরে আরও দু’টি এমন হোম চালু করা হয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, তিনটি হোমে মোট ৯৬ জন আছেন। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে।