কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইসলামপুর পুলিস জেলার সুপার সচিন মক্কর বলেন, লকডাউন না মানলে আমরা গ্রেপ্তার করছি। রবিবার রাতে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ইসলামপুর, চোপড়া সহ বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩টি গাড়ি সিজ করা হয়েছে। এগুলিতে যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছিল। টোটো ও অটোর বিষয়টি দেখছি। বিনা কারণে ঘুরলে সিজ করা হবে। যদি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ করে সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।
ইসলামপুর টোটোচালক ইউনিয়নের সভাপতি প্রেমকমল রায়চৌধুরী বলেন, কিছু টোটো চলছে, একথা সত্যি। পুলিস কিছু আটক করেছিল। অনেকেরই পরিবার প্রতিপালনের একমাত্র অবলম্বন টোটো। ফলে লকডাউনের ফলে বাড়ি বসে থেকে সংসার চালাতে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে কেউ কেউ বেরিয়ে পড়ছে। কিন্তু আমরা সকলকেই ঘরে থাকতে অনুরোধ করছি। ডালখোলা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজেশ গুপ্তা বলেন, ডালখোলায় অবাধে টোটো ও অটো চলছে। সেগুলি যাত্রী পরিবহণ করছে। অথচ কেউ দেখার নেই। এর ফলে সরকারের লকডাউনের সিদ্ধান্ত বিফল হতে পারে। প্রশাসনকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
চাকুলিয়ার রামকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা ভোলানাথ মণ্ডল বলেন, অটো চালিয়ে সংসার প্রতিপালন করি। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় একমাত্র রাস্তা লকডাউন। তাই এখন অটো বাড়িতেই রাখা আছে। উপার্জনের রাস্তা বন্ধ। ব্যাঙ্কের কিস্তি বাকি। বুঝতে পারছি না কী করব।
রামকৃষ্ণপুরের আরেক বাসিন্দা তাপস সরকার ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালান। কিন্তু লকডাউনের ফলে তাঁরও উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। তাপসবাবু বলেন, প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত কানকির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে যা উপার্জন হতো তা দিয়েই সংসার চলত। এখন ঘরবন্দি হয়ে আছি। কী করে সংসার চালাব ভেবেই পাচ্ছি না। স্থানীয়রা বলছেন, লকডাউনের কারণে টোটো, অটোচালক, ঝালমুড়ি কিংবা ফুচকা বিক্রেতাদের মতো বহু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীই আর্থিক অনটনে পড়েছেন। কিন্তু একাংশ টোটো ও অটো চালক লকডাউনকে তোয়াক্কা না করে আগের মতোই যাত্রী পরিবহণ করছেন। ইসলামপুর, চাকুলিয়া, ডালখোলা সহ বিভিন্ন এলাকায় একই চিত্র চোখে পড়ছে। লকডাউনের শুরুতে পুলিস লাঠির ভয় দেখিয়ে রাস্তা থেকে বহু মানুষকে ঘরে ঢুকিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন যানবাহন আটকাতে বিশেষ অভিযান কিছু নেই। তাই এবিষয়ে পদক্ষেপ করার দাবি উঠেছে।