কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে চা বাগানের কাজ চলুক। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বক্তব্য জানার পর চা শিল্পে কোটি কোটি টাকা লোকসান রুখতে চা মালিক সংগঠনগুলি রাজ্যের কাছে আবেদন করেছিল ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে তাদের চা বাগানে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হোক। চা মালিক সংগঠনগুলির বক্তব্য, লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যেই চা শিল্পে ২৫০০ কোটি টাকার লোকসান ছাড়িয়ে গিয়েছে।
কিন্তু, দেশে এবং রাজ্যে যেভাবে দ্রুত করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে এই পরিস্থিতিতে বাগানে শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা খুবই ঝুঁকি হয়ে যাবে বলে রাজ্য সরকার এবং ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই আবেদনে উদ্বিগ্ন আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিংয়ের দুই সাংসদও। তারপরেই চা বলয়ের দুই সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়েছেন। এই ঘটনায় বিতর্কও দেখা দিয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের সংসদ সদস্য বিজেপির জন বারলা বলেন, নিচুতলায় থেকে আমরা বুঝতে পারছি করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে চা বাগানেও লকডাউন জরুরি। করোনার সংক্রমণ যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে চা বাগান খোলা হলে অত্যন্ত ঝুঁকি হয়ে যাবে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে আমি ও দার্জিলিংয়ের সংসদ সদস্য অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছি। এই চিঠি দেওয়ার ঘটনায় কোনওরকম বিতর্কের অবকাশ নেই।
এরই মাঝে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কোনওভাবেই চা বাগান খোলা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়ায় উদ্বিগ্ন চা বলয়ে স্বস্তির হাওয়া ফিরে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে চা শ্রমিক থেকে শুরু করে সব মহলই স্বাগত জানিয়েছে।
চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মুখ্যমন্ত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। জয়েন্ট ফোরাম নেতা গোপাল প্রধান বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।
চা বাগান মালিক সংগঠন টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (টাই) সম্পাদক রামঅবতার শর্মা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের উপরে আর কোনও কথা হয় না। আমি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টেশন অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিপিএ) মুখমাত্র অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মেনে নিতেই হবে। কিন্তু পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ফের রাজ্যের কাছে আর্জি জানাচ্ছি।