গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, কালিয়াচকে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে। গুলি চালানোর খবরও এসেছে। তবে ওই ঘটনায় কেউ জখম হননি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচকের সিলামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেশমা বিবি ও তাঁর স্বামী মোশারফ শেখের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নাসিম শেখের দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। করোনার লকডাউন চলাকালীন সচেতনতামূলক প্রচার ও ত্রাণ সামগ্রী বণ্টন নিয়ে সেই দ্বন্দ্ব সম্প্রতি চরমে ওঠে। তার জেরেই এদিনের ঘটনা ঘটেছে বলে তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরা জানিয়েছেন। মোশারফ শেখ ও নাসিম শেখের অনুগামীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি চালানো ছাড়াও লাঠিসোঁটা নিয়ে একে ওপরের ওপরে চড়াও হওয়ার অভিযোগও তুলেছে।
মোশারফ শেখ ও তাঁর স্ত্রী তথা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, করোনার বিরুদ্ধে স্থানীয় নাগরিকদের সতর্ক করার কাজ শুরু করেছে পঞ্চায়েত। পাশাপাশি কিছু কিছু এলাকায় দুর্গত বাসিন্দাদের মধ্যে ত্রাণ বিলিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী। কিন্তু এতে সমস্যা তৈরি করছেন নাসিম শেখ ও তাঁর অনুগামীরা। এদিন সকালে বাজারে যাওয়ার সময় মোশারফ শেখকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয় বলে দাবি তাঁর অনুগামীদের। অভিযোগের তির নাসিম শেখের অনুগামীদের দিকে। কোনও মতে মোশারফ শেখ প্রাণে বেঁচে যান বলে দাবি করেছেন।
অন্যদিকে, নাসিম শেখের দাবি, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। নাসিম শেখ বলেন, পঞ্চায়েতের কিছু কাজকর্ম নিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এদিন স্থানীয় সব্জি বাজারের দিকে তিনি যখন যাচ্ছিলেন তখন তাঁকে গালিগালাজ করে আচমকাই গুলি ছোঁড়ে মোশারফ শেখ। মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ায় কোনওমতে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। নাসিমের দাবি, মোশারফ ও তাঁর স্ত্রী রেশমার একতরফাভাবে পঞ্চায়েত চালানোর প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি।
ওই সময় বাজারে আসা অন্যান্য লোকেদের বক্তব্য, দুই রাউন্ড গুলির আওয়াজ পেয়েছেন তাঁরা। পরে এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের জেলা নেতা হেমন্ত শর্মার বক্তব্য, ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ব্লক নেতৃত্বকে। কোনও ভাবেই বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করবে না দল।