পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সচেতন গ্রামবাসীরা বলেন, পাড়ায় পাড়ায় মেডিক্যাল টিম বা প্রশাসনের আধিকারিকরা গিয়ে বাসিন্দাদের না বোঝালে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সাম্প্রতি খলিসামারিতে একটি পরিবারের কয়েকজন সদস্য ভিনরাজ্যের ইটভাটা থেকে আসার পর জ্বরে ভোগেন। স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে পুলিস গিয়ে পরিবারটিকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারা তা মনেনি বলে গ্রামবাসীদের দাবি।
এ ব্যাপারে শীতলকুচির বিডিও ওয়াংদি গ্যালপো ভুটিয়া বলেন, কারা কারা ইটভাটা থেকে সম্প্রতি ফিরেছেন সেব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আশাকর্মীরা তাঁদের বাড়িতে যাচ্ছেন। তাঁদের রোগ সম্পর্কে বোঝানো হচ্ছে। তারপরও যদি কেউ নিয়ম না মানে আমরা পুলিসকে বলে তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করব।
বিহার, অসম সহ নেপালের ইটভাটায় পরিবার নিয়ে কাজ করতে যায় শীতলকুচি ও মাথাভাঙা-১ ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সিতাই, শীতলকুচি ও মাথাভাঙা-১ ব্লক মিলিয়ে কয়েক হাজার শ্রমিক প্রতিবছর ইটভাটায় কাজ করতে যান। এপ্রিল মাস শুরু হতেই শ্রমিকরা বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। গ্রামবাসীদের দাবি, ইটভাটায় কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা সকলেই দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন। তাঁরা গ্রামে ফিরেই এখন কাজের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হাটেবাজারে যাচ্ছেন। ইটভাটা ফেরত শ্রমিকদের করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে ও তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য পরামর্শ দিতে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে দাবি উঠেছে।
এমন অবস্থায় শীতলকুচি ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত, সিতাইয়ের ছ’টি এবং মাথাভাঙা-১ ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।