বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেই পুলিসের কাছে খবর আসে যে, দিল্লি থেকে গাড়ি নিয়ে কিছু ব্যক্তি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ঢুকতে পারে। সেইমতো মেহেন্দিপাড়া, দেহবন্ধ নাকা পয়েন্টে আঁটসাঁট নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে পুলিস। এছাড়াও জেলায় ঢোকার পকেট রুটগুলিতে নাকা চেকিং শুরু হয়ে যায়। সোমবার মধ্যরাতে হরিরামপুর থানার কালোমাটিয়া থেকে একটি কমার্শিয়াল ছোট গাড়িকে আটকায় পুলিস। সেই গাড়িতেই ছিল এই সাতজন। তাদেরও আটক করে পুলিস। সেখান থেকে তাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় মঙ্গলবার সকালে। লকডাউন থাকায় আইন ভেঙে দিল্লি থেকে তারা এজেলায় ঢোকায় পুলিস ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। সেইসঙ্গে ছোট গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, ধৃতরা দিল্লিতে কাজ করত। লকডাউনের পরে তারা আটকে পড়ে। যাত্রী পরিবহণ বন্ধ থাকায় হরিয়ানা থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া করে তারা রওনা দেয় বাড়ির উদ্দেশে। বিহার ও উত্তর দিনাজপুর হয়ে তারা দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর এলাকায় ঢোকে। তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হলে পুলিস আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
বারবার লকডাউন অমান্য করে ভিন রাজ্য বা ভিন জেলা থেকে শ্রমিকরা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ফিরছেন। এই অভ্যাস রুখতে কড়া হাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে স্থানীয় পুলিস প্রশাসন। হরিরামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল যে, দিল্লি থেকে গাড়ি ভাড়া করে কিছু ব্যক্তি জেলায় আসছে। সেইমতো নাকা পয়েন্ট ও জেলায় ঢোকার ছোট রাস্তাগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে একটি ছোট রাস্তা দিয়ে আমাদের জেলায় ঢোকার চেষ্টা করছিল দিল্লি থেকে আসা ছোট গাড়িটি। আমাদের পুলিসকর্মীরা গাড়িটি আটকে, দিল্লি ফেরত ব্যক্তিদের সোজা গোকর্ণ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যান। যেহেতু তারা লকডাউন অমান্য করে দিল্লি থেকে ফিরেছে, তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হরিরামপুরের বিডিও অভিযোগ করায় আমরা নির্দিষ্ট আইন মেনে মামলা রুজু করেছি। ছোট গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চালকের বাড়ি চাঁচল থানা এলাকায়। তিনি দিল্লিতে গাড়ি চালাতেন। সেই গাড়ি নিয়ে প্রতিবেশী জেলার লোকেদের নিয়ে জেলায় এসেছেন।
হরিরামপুরের বিএমওএইচ সৌভিক আলম বলেন, সাতজন ব্যক্তি জেলায় ঢুকেছে বাইরে থেকে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সকলের শারীরিক অবস্থা ভালোই রয়েছে। আমরা খবর পেয়েছিলাম যে, দিল্লি থেকে কিছু ব্যক্তি জেলায় আসছে। সেইমতো জেলার পুলিস প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয় সোমবার রাতে। হরিরামপুর থানার পুলিস তৎপরতার সঙ্গে সেই ব্যক্তিদের আটক করেছে। বাইরে থেকে ফেরা চালককেও কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। বহিরাগত ব্যাক্তিদের আটকাতে না পারলে করোনা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা অনেকটা বেড়ে যায়।