পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে কয়েকজন জানিয়েছেন, ওই দুষ্কৃতীরা একটি মোটর বাইকে এসেছিল এবং তারা গুলি ছোঁড়ার একটু আগে কাউন্সিলারকে ‘দাদা’ বলে সম্বোধন করেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা যদিও সেই বাইক আরোহী দুষ্কৃতীদের চেহারা ভালোভাবে দেখতে পায়নি বলেই দাবি করেছে। তবে তাদের মতে, একটি নম্বরবিহীন মোটরবাইকে চেপে তারা এসেছিল। গুলি চালিয়েই দ্রুতগতিতে তারা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। তা থেকেই তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, দুষ্কৃতীরা ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে আগে থেকেই চিনত।
গত সোমবার শহরের বুকে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটা ওই ঘটনা নিয়ে জোরকদমে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিস অফিসাররা। অন্যদিকে, বর্তমানে কাউন্সিলারের শারীরিক অবস্থা খানিকটা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ মেডিক্যালের চিকিৎসকরা। যদিও এখনও তাঁর শরীর থেকে গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। তবে ক্ষতস্থান মেরামত করা গিয়েছে। এদিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে শাসকদলের কাউন্সিলারকে গুলি করার ঘটনা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেরিয়েছে। লকডাউনের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিতে বাজারে বা গ্যাসের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের মুখে একই আলোচনা চলেছে। দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবিও উঠেছে।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত গুরুত্ব সহকারে করছি। আশা করি দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা যাবে।
তপনবাবুর ছেলে তনয় দাস বলেন, বাবা বর্তমানে ভালো আছে। চিকিৎসকরা তাঁকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আশা করছি, বাবা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।
সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ রায়গঞ্জ শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার তপন দাস রায়গঞ্জের কান্তনগর এলাকায় সাফাইয়ের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় একটি বাইকে করে দুষ্কৃতীরা এসে তপনবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। প্রথমে তপনবাবুকে মাথায় লক্ষ্য গুলি চালালে তপনবাবুর পাশ দিয়ে গুলি চলে যায়। পরে ওই দুষ্কৃতীরা দ্বিতীয়বার গুলি চালায়। সেই গুলি তপনবাবুর বুকের নীচে লক্ষ্য করে চালানো হয়। কিন্তু গুলি তার পেটের নীচে গিয়ে লাগে। গুরুতর জখম অবস্থায় মাঠিতে পড়ে যান তপনবাবু। তড়িঘড়ি তপনবাবুকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা দ্রুত তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন।
এই ঘটনা তদন্তে নেমে একের পর এক স্থানীয় বাসিন্দাদের জেরা করছে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। তাদের জেরা করে, ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত থাকা মানুষদের জবানবন্দি থেকে কোনও সূত্র খুঁজে পাওয়া যায় কি না, যার চেষ্টা চলছে। দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী পুলিস আধিকারিকরা। এলাকায় দিনে দুপুরে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে, তা বের করতে রীতিমতো চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত পুলিস জানতে পেরেছে যে একটি বাইকে চেপে যে দু’জন দুষ্কৃতী এসেছিল, তাদের মধ্যে একজন হেলমেট পড়েছিল। তার মুখে মাক্স লাগানো ছিল। পিছনে আরও একজন বসে ছিল। তারও মুখে মাক্স ছিল। গুলি চালিয়েই এলাকা থেকে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। কোন রাস্তা দিয়ে তারা এসেছিল এবং কোথায় তারা গিয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।