বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবিষয়ে গ্রামের যুবক তথা উদ্যোক্তাদের অন্যতম আনন্দ বর্মন বলেন, আমাদের গ্রামে বেশিরভাগই গরিব মানুষের বসবাস। লকডাউনের ফলে অনেক শ্রমিক ও কৃষকের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় আমরা গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিই। শুক্রবার থেকে আমরা রোজ প্রায় ১৫০০ গ্রামের মানুষকে খাইয়েছি। কিন্তু আমাদের আর্থিক টান থাকায় আর খাওয়াতে সমস্যা হয়ে পড়েছে। তবে আরও দু’একদিন হয়তো খাওয়াতে পারব। আর যদি কেউ কেউ সাহায্য করেন, তাহলে রোজই খাওয়াতে পারব।
এবিষয়ে গ্রামবাসী সাগর সিং বলেন, আমি বাইরে শ্রমিকের কাজ করি। বর্তমানে টানা কয়েকদিন কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাই বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করা, সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। এই গ্রামের যুবকরা নিজেদের প্রচেষ্টায় কয়েকদিন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই একটু সুবিধা হয়েছে।
এবিষয়ে নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান শুভেন্দু মার্ডি বলেন, কৈগ্রামের বিষয়টি আমার জানা নেই। কিন্তু গ্রামের যুবকরা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তা নিঃসন্দেহে খুব ভালো উদ্যোগ। আমাদের এখানেও অনেক যুবক মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আমিও কিছু যুবকদের এই কাজ করতে সাহায্য করেছি। কৈগ্রামের যুবকরা আমার কাছে সমস্যার কথা জানালে যতটুকু পারব সাহায্য করব। এছাড়াও সরকারি তরফে কিছু সাহায্য করা যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত এলাকা কৈগ্রামে বেশিরভাগ গরিব কৃষক ও শ্রমিক বাস করেন। লকডাউনের জেরে সবাই সমস্যায় পড়েছেন। তাই গ্রামের যুবকরা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। একটি প্রাথমিক স্কুলে রান্নার কাজ চলছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক ও গ্লাভস পড়েই খিচুড়ি রান্না করছেন গ্রামের যুবকরা। গ্রামের বাসিন্দারা মিলে ১০ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কৈগ্রামের হাটখোলার মুক্তমঞ্চে গ্রামবাসীদের খাওয়ানো হচ্ছে। একদিনে প্রায় ১১-১২ বড় কড়াই ভর্তি খিচুড়ি রান্না হচ্ছে এবং গ্রামের প্রায় ১২০০-১৫০০ গরিব মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে। কেউ কেউ বসে খাচ্ছেন। কেউ কেউ বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। তবে আর্থিক সঙ্কটের জেরে কয়েকদিন স্থগিত রাখতে হবে এই উদ্যোগ। আবার আর্থিক সাহায্য মিললেই গ্রামবাসীদের খাওয়ানো হবে।