পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরিবারের সদস্যরা মাঝরাতে ঘুম ভেঙে উঠে আগুন দেখতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন। তারই মধ্যে কোনওরকম প্রাণ বাঁচিয়ে বাইরে বের হতে পারেন তাঁরা। হতাহতের কোনও ঘটনা তাই ঘটেনি। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি, বাড়ি ও দোকান থেকে কোনও কিছুই বের করতে পারেননি তাঁরা। সব মিলিয়ে প্রায় তিন থেকে চার লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লক ডাউনের মাঝে দু’দিনের মধ্যে বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি জায়গায় আগুন লাগায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পতিরাম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিস।
এবিষয়ে পরিবারের এক সদস্য মুক্তি কর্মকার বলেন, গতকাল রাতে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘুম ভেঙে যায়। তখন উঠে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। কোনওরকমে বাড়ি থেকে পালিয়ে আমরা প্রাণ বাঁচাই। কিভাবে আগুন ধরেছে আমরা বুঝতে পারছি না। লকডাউনের মধ্যে এমনিতেই সবাই ঘরে বসে রয়েছি। কোনও উপার্জন নেই। তার উপর আমাদের জীবিকার মাধ্যম, লোহার দোকানগুলোও পুড়ে গিয়েছে। আমাদের চারটি পরিবারের প্রায় চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। এই সময় সরকারি সাহায্য পেলে ভালো হতো। এবিষয়ে আমরা প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা অজয় কর্মকার বলেন, সোমবার রাতে হঠাৎই ধোঁয়া দেখতে পাই। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ও পুলিস। দমকলকর্মীরা আসার আগে থেকেই স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছিলাম। ততক্ষণে সবই পুড়ে গিয়েছে।
এবিষয়ে বোল্লা গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান পলি পাল বলেন, ওই পরিবারের সদস্যরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমি তাদের দুর্দশার কথা জয়েন্ট বিডিওকে জানিয়েছি। এছাড়াও আমাদের দলের অঞ্চল সভাপতি সেখানে গিয়ে ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিভাবে সাহায্য করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পতিরাম পুলিস এবং দমকল বাহিনীর পক্ষ থেকে জানিয়েছেন, ওই পরিবারের কামারের দোকান ছিল। হয়ত সেই দোকানের লোহা গরম করার আগুন কোনওভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। অথবা মশার কয়েল থেকেও আগুন লাগতে পারে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিলাবাটি এলাকার বাসিন্দা চার ভাই তাপস কর্মকার, সন্তোষ কর্মকার, পরিমল কর্মকার ও পরিতোষ কর্মকার। চার ভাইয়ের একসঙ্গে লাগানো বাড়ি। তাঁদের চারটি কামারের দোকান রয়েছে। সবার প্রথমে আগুন লাগে তাপস কর্মকারের বাড়িতে। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পরিমল ও সন্তোষবাবুর বাড়িতে। একটু দূরে বাড়ি হওয়ায় অল্পের জন্য বেঁচে যায় পরিতোষবাবুর বাড়ি। এদিকে বাড়ি থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশে থাকা চারটি দোকানও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিন সকালে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা ওই কর্মকার বাড়ি গিয়েছিলেন। সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।