বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মাথাভাঙা মহকুমায় গ্রামীণ এলাকায় প্রচুর এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটরের কাউন্টার রয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনায় উপভোক্তার সংখ্যা গ্রামেই বেশি। একেবারে গ্রামীণ সাধারণ মানুষ যে এখনও লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব এসব শব্দের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেনি তারা গ্যাস কাউন্টারগুলির সামনে গিয়ে ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়াচ্ছেন। যদিও কয়েকজন গ্যাস ডিলার জানিয়েছেন, সবাইকে সচেতন করতে কাউন্টারের সামনে মাইক লাগিয়ে ঘোষণা করা হচ্ছে। তারপরও নিয়ম মানছে না অনেকেই। এদিকে সরকারি বরাদ্দ না দিলে বিক্ষোভের ভয় পাচ্ছেন ডিলাররা।
মাথাভাঙার এলপিজি ডিলার কেশব বর্মন বলেন, আমাদের কাউন্টারের সামনে মাইক লাগানো হয়েছে। সকলকে সামাজিক দূরত্ব মানতে অনুরোধ আমরা করছি। সিভিক ভলান্টিয়াররাও রয়েছেন। গ্রাহকরা কোনও কথা শুনছেন না। আমাদের মহকুমার প্রতিটি গ্যাস ডিলারের কাউন্টারের সমনে একই অবস্থা। সব জায়গায় সিভিকরা রয়েছেন। তারপরও পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছে না। অনেকেই ভাবছেন সিলিন্ডার শেষ হয়ে যাবে। আমরা আশ্বস্ত করলেও কেউ তাতে কান দিচ্ছেন না।
মাথাভাঙা মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ডিলারদের সঙ্গে কথা বলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়মমতো উজ্জ্বলা যোজনার অধীন আট কোটি উপভোক্তার বেশিরভাগই রান্নার গ্যাসের দাম তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এ মাসের ৫ তারিখের মধ্যে পেয়ে গিয়েছেন। গোটা মাসের যেকোনও সময়ে তাঁরা গ্যাস নিতে পারবেন। কিন্তু একশ্রেণীর মানুষ সেটা না বুঝে ভিড় করছেন কাউন্টারগুলির সামনে। এতে বিপাকে পড়ছেন ডিলাররা। তাঁরাও চাইছেন এ ব্যাপারে পুলিস প্রশাসন গ্যাস কাউন্টারের সামনে কড়া নজরদারি চালাক। তাহলে কিছুটা নিয়মরক্ষা হবে।
যদিও উপভোক্তারা ভাবছেন, দেরি হলে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যাবে না। এজন্য তাঁরা ভিড় করছেন। যদি করোনা সংক্রমণ নিয়ে কেউ ওই ভিড়ে থাকেন সেক্ষেত্রে পরিস্থিত কোন জায়গায় পৌঁছবে তা আঁচ করে সচেতন নাগরিকরা সিউরে উঠছেন।