বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবিষয়ে পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, সবসময় বল প্রয়োগ করে সবকিছু সম্ভব হয় না। তাই সাধারণ মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করেছি। যাঁরা অহেতুক বাইরে বেরিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। তাঁদের ঘরে থেকেই সুস্থ থাকার আবেদন করা হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে সব জায়গাতেই পরিদর্শন করা হচ্ছে।
এদিকে বালুরঘাট শহরজুড়ে দুস্থ অসহায় গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ সাধারণ মানুষ। বালুরঘাট সহ পাশ্ববর্তী গ্রামের দুস্থ মানুষদের খাওয়ার, চাল, ডাল, আলু সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করছেন অনেকেই। শুধু মানুষ নয়, রাস্তার পশুদেরও খাওয়ারের যোগান দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পশুপ্রেমীরা। বালুরঘাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক নেপাল দাস বলেন, লকডাউন পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা একটি এমার্জেন্সি ফুড ব্যাংক তৈরি করেছি। সেখানে প্রতিদিন কয়েকশ’ মানুষের খাবার তৈরি করছি। বালুরঘাটের রেল স্টেশন চত্বর সহ অনান্য এলাকার দুস্থ মানুষের কাছে চাল, ডাল, আলু সহ অন্যান্য সামগ্রী তুলে দিয়েছি।
বালুরঘাটের এক পশুপ্রেমী মাহি ফৌজদার বলেন, লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় পথকুকুররা খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। ওরা খাওয়ার পাচ্ছে না। তাই আমরা খাওয়ার তৈরি করে বালুরঘাটের শহরের অনেক কুকুর ও অন্যান্য পশুদের খাওয়াচ্ছি।
অন্যদিকে, সোমবার বালুরঘাট শহরের রামকৃষ্ণপল্লি এলাকায় শনি মন্দির কমিটির তরফে এলাকার দুস্থ মানুষদের মধ্যে চাল, ডাল, আলু সহ আনাজ বিলি করা হয়। তাছাড়াও শিশু কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান দেবাশিস মজুমদার ও ডিএসপি সদর ধীমান মিত্র শুভায়ন হোমের কিশোর আবাসিকদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে তাদের মধ্যে স্যানিটাইজার বিলি করেন।