সংবাদদাতা, ইসলামপুর: লকডাউন না মানার অভিযোগ ঘিরে শুক্রবার গভীর রাতে ইসলামপুর শহরের মায়া সিনেমা হল রোড এলাকায় পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিসের দাবি, ওই এলাকায় লকডাউন মানা হচ্ছিল না। তার প্রতিবাদ করাতেই বচসা বাধে। যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি এলাকার বাসিন্দারা। এ ঘটনায় এক পুলিস কর্মী জখম হয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিস টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে। সেইসঙ্গে লাঠিচার্জও করেছে। যদিও এই দু’টি অভিযোগই অস্বীকার করেছে পুলিস। পুলিস ও স্থানীয় একটি ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রাত প্রায় নটা নাগাদ। পুরাতন ফায়ার ব্রিগেড মোড় এলাকায় একটি ক্লাবের কয়েকজন সদস্য ও দুই পুলিস কনস্টেবলের মধ্যে বচসা বাধে ও ধস্তাধস্তি হয়। ওই দুই কনস্টেবল থানায় এসে অভিযোগ করেন। এর পরে রাত প্রায় ১টা নাগাদ একজন এসআই ও একজন এএসআই কয়েকজন পুলিস কর্মী নিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য এলাকায় যান। সেসময় স্থানীয়রা পুলিসকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এই খবর থানায় আসতেই আই সি শমীক চট্টোপাধ্যায় ও ডিএসপি সোমনাথ ঝা বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। সে সময় স্থানীয়রা পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট পাথর ছুঁড়তে থাকে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের পাল্টা অভিযোগ, পুলিস বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায়, লাঠিচার্জ করে।
ইসলামপুর থানার আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ডিউটি অফ থাকা দুই পুলিস কনস্টেবলকে ক্লাবের সদস্যরা মারধর করেছিল। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটির তদন্ত করতে গিয়েছিল পুলিস। সেসময় পরিকল্পিতভাবে তাদের আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে আরও পুলিস ফোর্স নিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। পুলিস লাঠিচার্জ কিংবা টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায়নি। কাউকেই মারধর করেনি। পুলিসকে লক্ষ্য করে দোতলার ছাদ থেকে ইট পাথর ছোঁড়া হয়। তাতে একজন পুলিস কর্মী জখম হয়েছেন।
ওই ক্লাবের অন্যতম সদস্য মহম্মদ জিসান বলেন, আমরা বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্র মানুষের মধ্য খাবার বিলি করে ফিরে এসে ক্লাবে বসেছিলাম। সেসময় দু’জন আমাদের গালাগালি করে। আমরা তাদের চিনি না। ফলে সদস্যদের সঙ্গে তাদের বচসা হয়। এর পরে পুলিস রাতে অন্যায়ভাবে এলাকায় এসে মারধর করেছে।