কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বালুরঘাটের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা কল্যাণ বর্মন বলেন, আমাদের কাছে ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই। আমাদের এখন রেশন দিচ্ছে না। তাহলে আমরা খাব কী? এব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় বলেন, যাঁদের ডিজিটাল কার্ড নেই, ১০ তারিখের পর বাড়ি বাড়ি কুপন দিয়ে আসা হবে। হরিরামপুরের ঘটনা নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।
তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ টাকা দান করেছেন। বুনিয়াদপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মন এদিন এক লক্ষ টাকা দান করেছেন। এছাড়া ওই পুরসভারই দুই অস্থায়ী সাফাইকর্মী আড়াই হাজার টাকা করে মোট পাঁচ হাজার টাকা দান করেছেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আলিগাড়ার বাসিন্দা গোকুল মণ্ডল ও সুনীল বর্মন বলেন, আমরা তো তবু কাজ করছে, রোজগার করছি। অনেকেই তো খেতে পাচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ালাম।
এদিকে গঙ্গারামপুরের স্টেডিয়াম ও গেস্ট হাউসকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন, এধরনের একটি প্রস্তাব জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে। আমরা দ্রুত কাজ শুরু করে দেব।
জেলার সবথেকে বড় রামনবমীর অনুষ্ঠান হয় বুনিয়াদপুরের সরাইহাটে। লকডাউনের কোপে তা এবার হয়নি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা সহ সম্পাদক সুকমল সরকার বলেন, সমাজের স্বার্থে কোনও বড় পুজো বা মিছিল করিনি। বাড়িতে বাড়িতে রামের ছবি পুজো করা হয়েছে। বালুরঘাটের চকভৃগুর গ্রন্থাগার পাড়ার মেঘদূত ক্লাবের বাসন্তীপুজো প্রায় তিন দশকের পুরনো। এবার প্রতিমা অর্ডার দেওয়ার পরেও পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে করোনার জেরে।
এদিকে রায়গঞ্জের সংসদ সদস্য বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী এদিন রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় থেকে মোহনবাটি পর্যন্ত এলাকায় মাস্ক বিতরণ করেন ও সচেতনতামূলক প্রচার করেন। দেবশ্রী বলেন, লকডাউনেও রাস্তাঘাটে মানুষ বেরোচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিসের সঙ্গে কথা বলব। যদিও লকডাউনের মধ্যে ভিনরাজ্য থেকে এসে কেউ এভাবে শহরে ঘুরতে পারেন কীভাবে, সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন চাকুলিয়ার বিধায়ক ভিক্টর।
এদিন দু’জন শ্রমিক বিহারের মজজফপুর থেকে রায়গঞ্জে ঢোকেন। তাঁদের বাড়ি বীরভূমে। শিলিগুড়ি মোড়ে পুলিস তাঁদের আটকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি এদিন দুপুরে ইসলামপুর শহরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিস দু’টি ট্রাক আটক করে। ওই ট্রাকে অসম থেকে অনেক শ্রমিক বিহারে বাড়ি ফিরছিলেন। এসপি সচিন মক্কর বলেন, যেহেতু তারা ইসলামপুরের বাসিন্দা নন, তাই ওই ট্রাক দুটিকে যাত্রীসহ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামপুরের মিলনপল্লি আদিবাসীপাড়া এলাকায় পুলিস দরিদ্র বাসিন্দাদের হাতে খাদ্য ও মাস্ক তুলে দেয়। পুলিস সুপার বলেন, খাদ্য নিয়ে অন্য কোথাও থেকে সমস্যার খবর পেলে সেখানেও দেওয়া হবে।