বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার আসরে নামেন পর্যটমন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন তিনি দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি দুই জেলার খাদ্য নিয়ামকদের নিয়ে শিলিগুড়িতে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অশান্তি ছড়াতে চাইছে। এসব বরদাস্ত করা হবে না।
এদিন ময়নাগুড়ির দোমহনির নতুন বাজারে এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কম পরিমাণে চাল, গম দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গ্রাহকরা ওই দোকানের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস ও খাদ্যদপ্তরের ব্লকের পরিদর্শক সুপ্রকাশ মণ্ডল সেখানে যান। সরকারি আধিকারিকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জলপাইগুড়ি শহর, মালবাজারেও বিক্ষিপ্তভাবে এমন অভিযোগ সামনে এসেছে।
বুধবার কুমারগ্রামে গ্রাহকদের রেশনে কম সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগে পুলিস একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। এদিন অভিযুক্তকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেয়। অন্যদিকে, কুমারগ্রামে রেশনকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। কুমারগ্রাম ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে অন্ত্যোদয় যোজনায় নাম থাকার পরেও রেশন না পাওয়া উপভোক্তাদের তালিকা সংগ্রহ শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এদিকে শামুকতলা থানার ওসি বিরাজ মুখোপাধ্যায় বলেন, আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের মাঝেরডাবরির এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে পরিমাণে কম চাল, গম দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুই জেলার খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠক ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী বলেন, যাঁরা নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু পাননি তাঁদের সাতদিনের মধ্যে টোকেন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দার্জিলিং জেলায় ১৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৪৫ এবং জলপাইগুড়ি জেলায় ২৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৩৬১ জন রেশনের সুবিধা পাবেন। আরকেএসওয়াই-১ এবং ২ তালিকায় আবেদন করা দার্জিলিং জেলায় ৯৭ হাজার ও জলপাইগুড়ি জেলায় ৭৪ হাজার মানুষকে একসপ্তাহের মধ্যে টোকেন দেওয়া উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট জেলার খাদ্যদপ্তর নিয়েছে। আরকেএসওয়াই-১ তালিকায় নাম থাকা প্রত্যেক গ্রাহক এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে চাল, গম পাবেন। তবে আরকেএসওয়াই-২ তালিকায় থাকা গ্রাহকরা আগের মতোই রেশন পাবেন। ভিড় এড়াতেই দু’সপ্তাহের রেশন একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেজন্য সকলেই যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে রেশনের খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করেন তার আর্জি প্রশাসন রেখেছে।