গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বেশ কিছুদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। তারা রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র চালু করেছে। এবার তারা কোভিড-১৯’র মোকাবিলায় আরও লোকবল বাড়ানোর দাবি তুলেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে অ্যানাস্থেটিস্ট ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের কাজে দক্ষ মেডিক্যাল অফিসার ১০ জন এবং আইসিইউ’র টেকনিশিয়ান ২০ জন দরকার। সংশ্লিষ্ট সংখ্যক চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান চেয়ে দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্যের কাছে চিঠি দিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মেডিক্যাল কলেজের এক আধিকারিক বলেন, কোভিড-১৯’র মোকাবিলায় আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা প্রদান করার জন্য চিকিৎসক দরকার। তা জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে চাওয়া হয়েছে। তাছাড়া, মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন দেওয়ায় ৩০ জনের মতো হাউস স্টাফ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দাবি পূরণ করার চেষ্টা চলছে। ডাক্তারের পাশাপাশি এই বিপর্যয় মোকাবিলা করতে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রচুর উপকরণও চেয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ আছে, ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুপমেন্ট (পিপিই) সপ্তাহে ৭০০টি, ত্রিস্তর বিশিষ্ট সার্জিক্যাল মাস্ক সপ্তাহে ১০০০টি, গামবুট সপ্তাহে ২৫টি, এন-৯৫ মাস্ক সপ্তাহে ১৫০টি, ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল যুক্ত ৫০০ এমএলের স্যানিটাইজার সপ্তাহে ১০০০টি, এক শতাংশ হাইপোক্লোরাইট যুক্ত জীবাণুনাশক ৭০০ লিটার করে সপ্তাহে চাওয়া হয়েছে। এদিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫০০ পিস পিপিই প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, রোগ মোকাবিলায় মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে। নিয়মিত তাদেরকে পিপিই সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও চারটি ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছে। তারা আইসোলেশন ওয়ার্ডে আরও ১৫টি বেড বাড়িয়েছে। সেখানে বর্তমানে বেড সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫টি।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে কোভিড-১৯’র ছোবলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কালিম্পংয়ের এক মহিলার মৃত্যু হয়। এরপর সোমবার সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই কনফারেন্সের পর জেলায় করোনা হাসপাতাল গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া প্রি। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর প্রস্তাবিত হাসপাতালের জন্য জায়গা খুঁজতে শুরু করেছে। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ওই হাসপাতালের জন্য জায়গা দেখা হচ্ছে। জায়গা অনুসারে হাসপাতালের বেড সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।