গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিভিন্ন এলাকায় পুলিস টহল দিচ্ছে। এদিন সকাল থেকেই এলাকায় লকডাউন মান্য করা নিয়ে জোর মাইকিং শুরু হয়ে যায়। শহরের শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনেকে কেনাকাটা করেছেন। এবিষয়ে বিক্রেতারাও সতর্ক। ভিড় হলেই তাঁরা ক্রেতাদের সরিয়ে দিচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন নতুন করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভিন রাজ্য ফেরত জেলাবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
লকডাউন নিয়ে মানুষকে বোঝাতে এবার রাস্তার উপর সচেতনতার বার্তা লিখে প্রচার শুরু করল হবিবপুর ব্লক পুলিস ও স্থানীয় প্রশাসন। ব্লকজুড়ে মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়কের উপরে লকডাউন চলাকালীন রাস্তায় না বেরনোর আবেদন জানানো হয়েছে। লকডাউন কেন, তা কেন লাগু করা হয়েছে সে বিষয়টি মানুষকে বোঝানো হচ্ছে। তার সঙ্গে মাইকিং করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আবেদন জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও শুভজিৎ জানা। এবিষয়ে শুভজিৎবাবু বলেন, করোনা মোকাবিলায় আমরা সবরকমভাবে প্রচার করছি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। আমরা রাস্তার উপর সচেতনতার বার্তা লিখে দিচ্ছি। রাস্তায় বেরলেই যাতে এলাকার মানুষ লকডাউন কী, কেন হচ্ছে এসব প্রশ্নের জবাব পেয়ে যান এবং যাতে তাঁরা নিজেরাই সতর্ক হয়ে যান, সেজন্য এই উদ্যোগ।
তবে, সোমবারের মতোই ইংলিশবাজারে এদিনও ভিড় ছিল রাস্তাঘাটে। শহরের চারটি জায়গায় চেকপোস্ট বানিয়ে বাইক আরোহীদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস।
এদিকে, ইংলিশবাজার শহরের বালুচরের বাসিন্দা আট বছরের সৃষ্টি কেশরী দান করল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। নিজের ঘটে জমানো ২০০০ টাকা তহবিলে দিয়েছে সে। মালদহ কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই লক্ষ টাকা দান করেছে।
পথে নেমে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজরা। মাস্ক, চাল, ডাল, সয়াবিন, নুন, তেল, জামাকাপড়, সাবান ইত্যাদি তুলে দেওয়া হয় দুঃস্থদের হাতে। এদিন শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৫০০টি পরিবারের হাতে চাল, ডাল, আলু ও নগদ ১০০ টাকা তুলে দেন ব্যবসায়ী লক্ষ্মণ ঘোষ।