পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাইনের জেরে বিহারে আটকে পড়েছিলেন ওই শ্রমিকরা। তাঁদের মধ্যে কারও বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারে। আবার কারও বাড়ি বীরভূম জেলায়। তাঁরা হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, এদিন সকালে রায়গঞ্জ শহরে ঢোকার পর তাঁদের রাস্তাতেই আটকে দেয় এলাকার মানুষ। এদিন শহরের খরমুজা ঘাট এলাকায় বিহার থেকে আসা দশজন শ্রমিককে আটকান স্থানীয়রা। তাঁরা প্রত্যেকেই জেলার ইটাহারের বাসিন্দা। অপরদিকে, বীরভূমের নলহাটি এলাকার জনা পঞ্চাশেক মানুষ বিহারের মধুবনীতে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন। লকডাউনের জেরে আটকে পড়েন তাঁরা। যা টাকাপয়সা ছিল তা শেষের পথে। কবে লকডাউন উঠবে, কবেইবা যানবাহন চালু হবে, সেজন্য অপেক্ষা না করে বিহারের মধুবনী থেকে হেঁটেই বীরভূমের নলহাটির উদ্দেশে রওনা দেন ওই শ্রমিকের দল। হেঁটেই প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে তাঁরা পৌঁছন রায়গঞ্জে। বিবেকানন্দ মোড়ে আটকানো হয় তাঁদের। পরে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। বীরভূমের শ্রমিক আসাদুল শেখ বলেন, বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু রায়গঞ্জে ঢুকতেই এলাকার মানুষ আমাদের আটকে মেডিক্যালে পাঠিয়ে দেয়। পরীক্ষার পর আমাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, গত কয়েক দিনে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা থেকে কয়েকশো শ্রমজীবী মানুষ ইসলামপুর ও চোপড়া ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের বাড়িতে ফিরেছেন। তাঁরা বাস ভাড়া করে এসেছেন। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, লকডাউনের মধ্যে কীভাবে কলকাতা থেকে ইসলামপুর পর্যন্ত বাস নিয়ে আসতে পারলেন তাঁরা। পুলিস অবশ্য জানিয়েছে, ইসলামপুর পুলিস জেলার সমস্ত সীমানা এলাকায় নাকা চেকপোষ্ট করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবে না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইসলামপুরের মাটিকুন্ডা, গেবিন্দপুর, সুজালি সহ বিভিন্ন এলাকার প্রচুর মানুষ কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় কাজ করতে গিয়েছিলেন। লকডাউনের ফলে কাজ বন্ধ থাকায় তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন। পুলিস প্রশাসন অবশ্য তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছে। হাসপাতাল থেকে তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।