পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লকডাউনের মধ্যেই সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরে উজ্জ্বলা গ্যাসের জন্য নথি জমা দিতে গ্রাহকদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শতাধিক মহিলা গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারে ভিড় করেন। পরে হরিরামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগাম নথি তোলা বন্ধ করে গ্রাহকদের ভিড় হঠিয়ে দিয়েছেন। হরিরামপুরের গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটার দিলীপ ঘোষ বলেন, উজ্বলা গ্যাস কানেকশনের ক্ষেত্রে গ্রাহক মহিলাদের আধারের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের অন্য এক সদস্যের আধার যুক্ত করার নির্দেশ রয়েছে। এদিন সেই কাজ চলছিল। ভিড় হওয়াতে সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে এই কাজ করব। হরিরামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, লকডাউন উপেক্ষা করে বহু মানুষের জমায়েত হয়। আমি নিজে গিয়ে সব বন্ধ করে হুঁশিয়ারি দিয়েছি যাতে, এমন কাজ এসময়ে করা না হয়।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে এক লক্ষ টাকা দান করল হিলি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এদিন হিলি থানা ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও এক লক্ষ টাকা দান করা হয়। গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপকুমার দাস ব্যক্তিগত অর্থে আলু, চাল, তেল, ডাল কিনে প্যাকেট করে মহকুমার একাধিক দুস্থ পরিবারের হাতে তুলে দেন।
এদিকে কলকাতা থেকে দ্বারভাঙা যাওয়ার পথে রায়গঞ্জে ১২০ জন শ্রমিককে আটকে তাঁদের রায়গঞ্জ মেডিক্যালে নিয়ে গেল পুলিস। এক শ্রমিক রামসাগর মুখিয়া বলেন, আমরা কলকাতায় কাজ করতাম। এখন কাজ নেই। খাবার পাচ্ছি না তাই দু’টি ট্রাক ও একটা গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলাম। রায়গঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, এদিন শিলিগুড়ি মোড়ে ওই শ্রমিকদের আটকানো হয়। তাঁদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে ছেলেকে খু্ঁজতে বিহারের আড়ারিয়া জেলা থেকে সাইকেলে চেপে আসানসোলে রওনা দিয়েছেন মুশকিল ঋষিরাজ নামে এক ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে আরও একটি সাইকেলে রয়েছেন তাঁর মেয়ে জামাই। জানা গিয়েছে, উপার্জন করতে আসাসনোলে চলে গিয়েছে তাঁর ছেলে। লকডাউনের পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। রবিবার রাতে ঋষিরাজরা রায়গঞ্জ শহরে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পুলিসকে বিষয়টি জানান। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, আমি আসানসোল কমিশনারেটের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই কিশোরের খোঁজ করার চেষ্টা করছি।