রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রতুয়ার ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের বলোদিয়া পুকুর ঘোষপাড়া এলাকায় পুলিসি টহলদারির সময় গ্রামবাসীরা রাস্তা দিয়ে গেলে পুলিস তাঁদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার জেরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিসের মোবাইল ভ্যানের অফিসাররা লকডাউন অমান্যকারীদের মারধর করে বলে অভিযোগ। আবার পুলিসের পাল্টা অভিযোগ, এলাকাবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট-পাটকেল চালায়। তাতে সামসি ফাঁড়ির পুলিস আধিকারিক সহ চার জন সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হয়েছেন।
এদিকে হরিশ্চন্দ্রপুরে ভালুকা বাজারে লকডাউন অমান্য করে অনেকে জটলা করে থাকায় পুলিস তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে যায়। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। সেই সময় পিছন থেকে কর্তব্যরত এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের উপর এক ব্যক্তি হামলা করে বলে অভিযোগ। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে লাঠি দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। খবর যায় স্থানীয় থানায়। পরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে পুলিস এসে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। পরে পুলিস জানতে পারে হামলাকারী ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। এনিয়ে রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা বেশ থমথমে হয়ে রয়েছে। আবার প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও অনেকে আইন ভেঙে রাস্তায় বাড়ির বাইরে জটলা করায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কও বাড়ছে। তাই পুলিসের কড়া পদক্ষেপকে সাধুবাদও জানিয়েছেন বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ।
স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের হুমায়ুন কবির বলেন, পুলিসের ওপর হামলার ঘটনা শুনেছি। পুলিস তদন্ত করছে। এবিষয়ে চাঁচল মহকুমার এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, রতুয়ায় পুলিসের উপর হামলার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চলছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় দাস বলেন, ভালুকা বাজার এলাকায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর হামলা করেছে। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তাছাড়া আর কিছু ঘটেনি।