বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
এদিন ইংলিশবাজারের অনেক দোকান খোলেইনি। বিগত কয়েকদিনের তুলনায় রাস্তায় বেরনো লোকের সংখ্যা বা ক্রেতাদের সংখ্যাও ছিল অনেকটাই কম। ব্যবসায়ীরা জানান, মানুষ আস্তে আস্তে সচেতন হচ্ছে। সেইসঙ্গে অনেকেই ইতিমধ্যে নিজ নিজ বাড়িতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে রেখেছেন। তাই ক্রেতাদের ভিড় কমছে। আর ক্রেতারা বিশেষ আসছেন না বলেই অনেক দোকানদারও দোকান খুলছেন না। যদিও ওষুধের দোকান ও বড় বড় মুদির দোকান এদিন খোলাই ছিল। রেগুলেটেড মার্কেট অথরিটির তরফে ইংলিশবাজার শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে আলু, চাল ইত্যাদি সামগ্রী নায্যমূল্যে বিক্রি করা হয়েছে এদিন। শহরবাসীকে যাতে ঘর থেকে বের হতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই উদ্যোগ বলে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
পুরাতন মালদহের বাজারগুলিতে অবশ্য এদিনও সকালের দিকে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে সকাল দশটার পর চড়া রোদ ওঠায় শহরের অলিগলিতে লোক সমাগম কমে যায়। যে কারণে শহরের পরিবেশ এদিন কার্যত থমথমে ছিল। শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেটে প্রচুর ভিড় হওয়ায় এদিন পুলিস ও প্রশাসনের তরফ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়। একাধিক সব্জি বিক্রেতাকে বাজারের সামনে রাস্তায় বসতে বলা হয়েছে। তবে লকডাউন নিয়ে সচেতনতা ও করোনা নিয়ে ভয় যে বাড়ছে তা শহরবাসীর হাবেভাবেই বোঝা গিয়েছে। পুরাতন মালদহের পাড়াগুলিতে বাসিন্দারা নিজেরাই কার্যত পাহারা দিচ্ছেন। এলাকায় কোনও অচেনা মুখ দেখলেই বাড়ির বারান্দা থেকে উঠে আসছে প্রশ্ন। সেইসঙ্গে মিলছে লকডাউন মেনে নিয়ে বাড়িতেই থাকার পরামর্শও। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, প্রতিবেশী ইংলিশবাজার শহরের মতো পুরাতন মালদহের বাজারগুলিও ঘিঞ্জি ভবন থেকে সরিয়ে নিয়ে এসে খোলা জায়গায় বসানো হোক।