পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে করোনা মোকাবিলায় পুরাতন মালদহ পুরসভায় কন্ট্রোল রুম খোলা হল। শহরজুড়ে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কারও খোঁজ মিললে শহরবাসী কন্ট্রোল রুমে সরাসরি ফোন করে জানাতে পারবেন। পাশাপাশি পুরসভার নোডাল অফিসার সাধন দাসের ফোন নম্বরে ফোন করে কন্ট্রোলরুমের যাবতীয় তথ্য জানা যাবে। ইতিমধ্যে শহরজুড়ে প্রায় ৭০ জন বাসিন্দা ভিনদেশ বা ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। যাঁরা নিয়ম মানতে চাইছেন না তাঁদের জন্য পুলিসের সাহায্য নিচ্ছেন পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এসম্পর্কিত একটি তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠিয়েছে পুরাতন মালদহ পুরসভা। সাধনবাবু বলেন, যাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন, আমরা তাঁদের উপর নজরদারি চালাচ্ছি। কেউ নিয়ম ভাঙলে পুলিসের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
ইংলিশবাজারে ইতিমধ্যেই রথবাড়ি ও মকদমপুর বাজার খোলা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু পুরাতন মালদহে তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ঘিঞ্জি জায়গাতেই বসছে বাজার। ইংলিশবাজার শহরে জেলা কালেক্টরেট ভবন ও সরকারি আধিকারিকদের গাড়ি এদিন ব্লিচিং মেশানো জল দিয়ে ধোয়ানো হয়েছে।
এদিন পুরাতন মালদহ শহরে প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানও খোলা ছিল। অনেকেই দোকানের শাটার নামিয়ে রেখেই ব্যবসা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। রাস্তাঘাটে পুলিস ছিল কম। পাড়ার মোড়ে মোড়ে জটলাও চোখে পড়েছে। পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, পুর এলাকার গরিব বাসিন্দাদের একটি তালিকা তৈরি করে তাঁদের বাড়ি বাড়ি চাল-ডাল পৌঁছে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, বাইরে থেকে মাছ ও ডিমের গাড়ি আসছে না। তাই সেগুলির দাম বেড়েছে। বাইরে থেকে এগুলির সরবরাহ স্বাভাবিক হলে সমস্যা মিটবে।
শুক্রবার দুই দিনাজপুরের রাস্তাঘাটেও লোকজনের চলাচল ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে কম। দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা প্রশাসনের ঘোষণা মতোই এদিন সকাল ৭টা থেকে ১০টা অবধি খোলা ছিল বাজার ও মুদির দোকান। ১০টা বাজার পর থেকেই আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে থাকে রাস্তা। অধিকাংশ জায়গাতেই লক্ষ্মণরেখা মেনেই কেনাকাটা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে রবিবার থেকে বসবে সব্জি বাজার। ইতিমধ্যেই বুনিয়াদপুর শহরের বাজারটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় ফুটবল মাঠে। এদিন গ্রামীণ এলাকা থেকে অনেকেই টোটো বা বাইকে চেপে শহরে বাজার করতে, বাইকে পেট্রল ভরাতে বা ‘লকডাউন দেখতে’ আসেন।
জেলার রেশন দোকানগুলি নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ, সেগুলি নিয়মিত খোলা হচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়ছেন উপভোক্তারা। জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলার দরিদ্র অসহায়দের খাদ্য দিয়েছে পুলিস। তৃণমূলের তরফ থেকে দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি আলু ও চাল দেওয়া হয়েছে। জেলার শতাধিক শিক্ষক এক হাজার টাকা করে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন।
উত্তর দিনাজপুরেও রাস্তাঘাটে লোক ছিল কম। জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই অসহায়দের বাড়ি বাড়ি প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন রায়গঞ্জ শহরে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানগুলি বাদে বিশেষ কিছুই খোলা ছিল না। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ি বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে পর্যাপ্ত সামগ্রী আছে।