ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে বাজারে মানুষ ও পুলিস, দু’পক্ষেরই ভিড় ছিল বুধবারের তুলনায় কম। বেশকিছু টোটো লকডাউন অমান্য করেই যাত্রী পরিবহণ করেছে। ওষুধের দোকানে নিরাপদ দূরত্বের নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবার আওতায় বাইরে থাকা পান, হার্ডওয়্যার, কেকের দোকান ইত্যাদি এদিন খোলা ছিল। এবিষয়ে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার্স অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, লকডাউনে মালদহের দুই শহর সহ জেলাজুড়ে ৯৫ শতাংশ দোকান বন্ধ ছিল। এদিন ভিড় অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। সবজি বাজার আমরা স্থানান্তরিত করেছি।
জেলা প্রশাসন একটি হেল্পলাইন নম্বর (৭৪৭৮১৬০১০০) চালু করেছে। সেইসঙ্গে করোনা হেল্পলাইন নম্বরগুলি হল (০৩৫-১২২২১২২১/২২১১২২ /২২১৩৩৮)। এছাড়া পুলিসের কন্ট্রোলরুম নম্বর হল ২৫২০১৮। এই নম্বরগুলি নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। গ্যাস, ওষুধ বা অন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিতে বেরিয়ে কোনও সমস্যায় পড়লে এই নম্বরগুলিতে ফোন করতে বলা হয়েছে। এদিন কংগ্রেস ও বিজেপির আলাদা আলাদা প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদেসর সঙ্গে দেখা করে। কংগ্রেসের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুরের একাধিক জায়গায় লকডাউন অমান্য করে একশো দিনের কাজের নামে প্রচুর লোকের জমায়েত হচ্ছে। বিজেপি সার সহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের জোগান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বালুরঘাট থেকে হিলিতে যান পরিদর্শনের জন্য। পথে লকডাউন অমান্য করে বের হওয়া একাধিক টোটোর চাকার হাওয়া খুলে দেন তাঁরা। বাইক আরোহীদের বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। সদুত্তর না পেলে বাইকের চাবিও নিয়ে নেওয়া হয়। মালঞ্চা, তুলসীপুর, কামারপাড়া বাদামাইলের মতো জায়গায় ভিড় হটাতে মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়।
এদিন হিলি ট্রাক টার্মিনাসে আটকে পড়া ট্রাক চালক ও খালাসিদের ভিড় দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সেখান ভিনরাজ্য থেকে আসা শ’খানেক চালক ও খালাসি আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। লকডাউনের জন্য তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। তাঁদের বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। এদিন শহর সহ গ্রামীণ এলাকার বাজারে ভিড় ছিল বুধবারের তুলনায় কম। কামারপাড়ার বড় হাট এদিন বসেনি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, খাদ্যপণ্যের জোগান নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।
রায়গঞ্জ ও ইসলামপুরেও একই অবস্থা। রায়গঞ্জ শহরের ঘড়িমোড়ে ভিড় ছিল খুবই কম। বাজারগুলিতেও ক্রেতারা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই কেনাকাটা করেছেন। পুলিসের নজরদারি ছিল। জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে যাঁরা রয়েছেন, ফোন করলে তাঁদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যায় কি না, জেলা প্রশাসনের তরফে সেই চেষ্টা চলছে। সেজন্য স্থানীয় মুদি দোকানদারদের একটি তালিকা তৈরির কাজও চলছে। ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা চালু করে দিয়েছে রায়গঞ্জ পুরসভা। সেইসঙ্গে ডালখোলা পুর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শহরের মধ্যে লকডাউন চলাকালীন কারও কোনও সামগ্রী প্রয়োজন হলে সেই সামগ্রী অল্প অর্থের বিনিময়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। সেজন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।