বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সেলিনার বাবা মোবারক হোসেন বলেন, মেয়ের বিয়ের সবরকম আয়োজন আমরা সেরে নিয়েছিলাম। আত্মীয় পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদের ভোজের নিমন্ত্রণ করে কার্ডও বিলি করেছিলাম। দূরের আত্মীয়রা এক-দু’দিনের মধ্যেই চলে আসতেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস যেসভাবে হানা দিচ্ছে এবং সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভিড় এড়াতে বলা হচ্ছে তাতে আমরা একপ্রকার বাধ্য হয়েই ওই দিন বিয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিই। সরকারি নির্দেশিকা সকলেরই মানা দরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে পাত্রপক্ষের সঙ্গে বসে আলাপআলোচনা করে ফের একটি দিন স্থির করা হবে।
সেলিনার জ্যাঠামশাই মকবুল হোসেন বলেন, পরিবারের সকলে মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি,এই মুহূর্তে বিয়ে বন্ধ রাখার। কারণ করোনার প্রকোপ যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে বিয়েবাড়িতে জমায়েত করা একেবারে ঠিক নয়। পাড়াপড়শীরাও সহমত হয়েছেন। পাত্রপক্ষকে জানালে তাঁরাও সম্মতি দেন। যাঁদের নিমন্ত্রণ করেছিলাম তাঁদের টেলিফোন করে ওই দু’দিন না আসার কথা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সেলিনার পরিবারের এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন মাথাভাঙার মহকুমা হাসপাতালের সুপার। হাসপাতালের সুপার দেবদীপ ঘোষ বলেন, আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে ওই পরিবারটি কার্যত সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছে। শিকারপুরের সেলিনার পরিবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।