পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শিলিগুড়ি কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) নিমা নরমু ভুটিয়া বলেন, চুরি, ডাকাতির অভিযোগ কম আসছে। করোনা মোকাবিলায় আমরাও সতর্ক আছি। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পশ্চিম) কুমার ভূষণ সিং বলেন, গত কয়েকদিন ধরে চুরি, ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার মতো ঘটনা অনেকটাই কমেছে। একইসঙ্গে চোর, ডাকাত ধরার সময় কোনও সংক্রমণ যাতে না ঘটে সেকারণে বিশেষ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। পুলিসকর্মীদের মাস্ক দেওয়া হয়েছে। এমন কী যেসমস্ত কয়েদিকে ধরে আনা হচ্ছে তাদের ট্রাভেল হিস্ট্রিও আমরা খতিয়ে দেখছি। করোনা মোকাবিলায় এককথায় সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
করোনার জেরে সতর্ক হয়েছে শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষও। সংক্রমণ রুখতে সেখানেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগারের জেল সুপার কৃপাময় নন্দী বলেন, কয়েক দিন ধরে অপরাধী আসার সংখ্যা কমেছে। করোনার জেরে আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ করেছি। সংশোধনাগারে স্পেশাল ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। নতুন যে কয়েদিরা আসছে তাদের সেখানে রাখা হচ্ছে। প্রায় ৩০ জন বর্তমানে স্পেশাল ওয়ার্ডে রয়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কয়েদির ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কয়েদিদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার আমরা দিচ্ছি। বর্তমানে জেলে ৪০০’র বেশি কয়েদি আছে। তাই করোনা নিয়ে আমরা বাড়তি সতর্ক আছি।
করোনা আতঙ্কে চেনা ছক বদলেছে অনেকটাই। সোমবার বিকেল থেকে গোটা রাজ্যে লকডাউন শুরু হয়েছে। আতঙ্কের আবহে পথঘাট শুনশান। রাস্তায় যেক’জন রয়েছেন তাঁদেরও হটিয়ে দিয়ে এলাকা ফাঁকা করছেন পুলিসকর্মীরা। অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি করা অন্যের বাড়িতে যেতেও নিষেধ করা হচ্ছে। অনেকেই সরকারি নির্দেশ না মেনে রাস্তায় বেরচ্ছেন। তাঁদের রুখতে এবং ঘরে ফেরাতে সোমবারের পর মঙ্গলবারও পুলিস বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে রাস্তায় নামে। লকডাউনের জেরে সাধারণ মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। করোনার জেরে তবে কি ঘরবন্দি চোর, ডাকাত বা ছিনতাইবাজরা। এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে শিলিগুড়ি শহরে। পুলিসের রিপোর্টই বলছে, দিন কয়েক ধরে উল্লেখযোগ্য ভাবে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা কমেছে।
সাধারণ বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, যা পরিস্থিতি তাতে বাড়ি থেকে বেরতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। চোর, ডাকাতরাও তো মানুষ। জীবনের ভয় সবারই থাকে। আতঙ্কের জেরে তাই চুরি করতে যেতে তারা ভয় পাচ্ছে। এদিকে রাস্তাঘাট শুনশান তাই ছিনতাইয়ের ঘটনাও নেই।