বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার জেলার ছ’টি ব্লকে সরকারিভাবে ৬৩টি চা বাগান আছে। দার্জিলিং পাহাড় এবং তরাইতে চা বাগানের সংখ্যা ৮৭টি। ডুয়ার্সের সিংহভাগ চা বাগান পড়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট, কুমারগ্রাম ও কালচিনি ব্লকে। এ দিন অধিকাংশ বাগানেই কাজ হয়।
বাগান বন্ধ থাকলে যাতে শ্রমিকদের মজুরি না কাটা হয় তার আর্জি নিয়ে এ দিন জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন। তাঁরা সকলেই দাবি করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাগান বন্ধ রাখা হোক। যদিও পরে সরকার নোটিস দিয়ে জানিয়েছে বাগান লকডাউনের আওতায় থাকছে। এ দিন চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়ন, ভারতীয় টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কাস ইউনিয়নের মতো সংগঠনের নেতারা জেলাশাসকের দপ্তরে আসেন। মঙ্গলবার অধিকাংশ বাগানে অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়।
স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা জেলার ৬৩টি চা বাগানে ভিনরাজ্য থেকে ফেরা ২২০০ জন শ্রমিকের সন্ধান পেয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, ভিনরাজ্য থেকে আসা বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকদের স্টেশনে ও বাসস্ট্যান্ডে নামার পর ও বাগানে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে করোনা সন্দেহে সাতজন ভর্তি আছেন।
আর এখানেই ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের স্ক্রিনিংয়ে ফাঁকফোঁকর থেকে যেতে পারে বলে মনে করছে জেলার চা শ্রমিক সংগঠনগুলি। থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের বাইরে থাকা ভিনরাজ্য থেকে আসা ওই শ্রমিকরা বিভিন্ন হাটবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই বাগানে করোনার সংক্রমণ এড়ানোর লক্ষ্যে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে শ্রমিকদের বাড়ি গিয়ে এবার স্ক্রিনিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি প্রভাত মুখোপাধ্যায় বলেন, বাসস্ট্যান্ড বা রেলস্টেশনে বিচ্ছিন্নভাবে করা স্ক্রিনিং অনেক শ্রমিক এড়িয়ে যেতে পারেন। তাই শ্রমিকদের বাড়ি গিয়ে স্ক্রিনিং করা দরকার। কংগ্রেস প্রভাবিত চা শ্রমিক সংগঠনের নেতা মণিকুমার ডার্নাল বলেন, ভিনরাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের স্ক্রিনিং করে তাঁদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এতে নানা ফাঁক থাকার আশঙ্কা থাকছে। তাই আমরা বলছি, বাড়িতে গিয়ে স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি তাঁদের বাড়িতে থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। আরএসপি প্রভাবিত ডুয়ার্স চা বাগান ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোপাল প্রধান বলেন, ঝুঁকি এড়াতে বাগানের সমস্ত শ্রমিকদের স্ক্রিনিং করা দরকার।
আলিপুরদুয়ারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী অবশ্য বলেন, জেলায় ভিনরাজ্য থেকে ফেরা ২২০০ জন শ্রমিকের সন্ধান মিলেছে। স্টেশনে ও বাসস্ট্যান্ডে নামার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেক শ্রমিকের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়েছে। আশাকর্মী এবং এএনএম’রা প্রতিদিন শ্রমিক মহল্লায় গিয়ে শ্রমিকদের স্ক্রিনিং করছেন। কাজেই স্ক্রিনিংয়ে কোনও ফাঁক নেই।