খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সোমবার বিকেল থেকে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো শিলিগুড়ি শহরেও লকডাউন শুরু হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া লকডাউনে সমস্তরকম কাজকর্ম বন্ধ রাখার কথা। একসঙ্গে সাতজনের বেশি রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার কথা নয়। তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন রাস্তায় খোস মেজাজে অনেকে ঘুরে বেড়ান। বিভিন্ন এলাকায় লোকের জটলা ছিল। এমন দৃশ্য দেখে চিকিৎসকদের একাংশ রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিন তথা প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ওই হাসপাতাল ইউনিটের সভাপতি ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, করোনা ভাইরাস থাবা বসানোর পরও ইতালি সহ কয়েকটি দেশের বাসিন্দারা কিছুটা উদাসীন ছিলেন। তাঁরা শপিংমলে, রেস্তরাঁ সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। যার ফলে করোনা ভাইরাস মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোখার জন্য কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বন্ধ করা জরুরি। তাই সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে লকডাউন কর্মসূচি মানা উচিত। যাঁরা এই সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করছেন, তাঁরা নিজের তো বটেই অজান্তেই সকলের ক্ষতি করছেন। তাই লকডাউন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে পুলিস ও প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের শিলিগুড়ির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখর চক্রবর্তী বলেন, এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে হলে বড় জমায়েত করা চলবে না। দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তা হলে ওই ভাইরাস ছড়াতে পারবে না। তাই সকলের লকডাউন মানা উচিত। লকডাউকে হালকাভাবে নেওয়া ঠিক নয়। যাঁরা তা মানছেন না, তাঁরা শুধু নিজের নয়, পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের বিপদ ডেকে আনছেন।
মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ইউনিটের পক্ষে ডাঃ সৌম্যদীপ রায় বলেন, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সকলকে লকডাউন মানা উচিত। কারণ এই ভাইরাস একজন মানুষের দেহ থেকে আরএকজনের দেহে ছড়ায়। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরবেন না। তবে দিনমজুরদের জন্য হোম রেশনিং বা হোম সার্ভিস প্রশাসন চালু করলে ভালো হয়।