বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন ভোর পাঁচটা থেকে খাদ্য সামগ্রী মজুতের হিড়িক শুরু হয়। শহর, শহরতলি ও শহর সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকা সহ একাধিক ব্লক সদরের বাজার এবং দোকানগুলিতে একই চিত্র ছিল। রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মানুষ আগাম খাদ্য সামগ্রী মজুদ করে নিয়েছেন এদিন। এদিন ক্রেতাদের ভিড়ের বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে মালদহের বণিকসভা। তবে প্রশাসনের ঘোষণা মতো লকডাউন জারি হওয়ার আগে জেলার ব্যাবসায়ীরা এদিন সময়মতো সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেন। লকডাউনের কথা মাথায় রেখে প্রয়োজন ছাড়া এদিন দুপুরের পরই মানুষ আর রাস্তায় বের হননি। তবে মহামারীর আতঙ্কের মাঝেই এদিন ভালো ব্যবসা নিয়ে মুখে হাসি ফুটেছে জেলার ব্যবসায়ীদের।
এবিষয়ে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন. লকডাউনের কারণে জেলাজুড়ে সব বাজারে এদিন ভোর থেকে ভিড় ছিল। এদিন রেকর্ড ব্যবসা হয়েছে। বিশেষ করে মুদিখানার দোকানে ভিড় উপচে পড়েছে। অনেকেই খাদ্যসামগ্রী মজুত করার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন। ব্যবসায়ীরা এদিন সময়মতোই দোকান বন্ধ করেছেন। পাশাপাশি আমরা বিভিন্নভাবে সচেতনতা বাড়াচ্ছি। মানুষকে গুজবে কান দিতে বারণ করছি।
সামসি মার্চেন্ট অব কমার্সের সম্পাদক তপনকুমার সিংহ বলেন, লকডাউনে মানুষ যাতে সমস্যায় না পড়েন সেজন্য রসদ মজুতে হিড়িক লেগে যায় এদিন। শুধু সামসি নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দোকানগুলোতেই ভিড় ছিল। তবে অযথা আমরা মানুষকে আতঙ্কিত হতে বারণ করছি। এদিন চাল, ডাল খাদ্য সামগ্রীর দোকানে চরম ভিড় ছিল। নারায়ণপুরের অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ জওয়ান অমর সিং বলেন, এদিন মঙ্গলবাড়ির বাজারে চরম ভিড় ছিল। লাইন দিয়ে সকালে চাল ডাল তুলেছি। দাম নিয়ে দরাদরি করার কোনও সুযোগ ছিল না।
ইংলিশবাজারের নেতাজি পুর বাজার, মকদমপুর, ঝলঝলিয়া বাজারে রেকর্ড ভিড় ছিল। রথবাড়ি সব্জি বাজারের ভোর পাঁচটা থেকেই কেনাকাটা শুরু হয়ে যায়। পুরাতন মালদহের শরৎচন্দ্র বাজার, সদরঘাটে ভিড় উপচে পড়ে। বাদ যায়নি হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী, আইহো বাজার, বামনগোলার পাকুয়া, গাজোল, সামসি, রতুয়া, মানিকচক, চাঁচল, হরিশচন্দ্রপুরের বাজারগুলিও।