খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এ দিন ফালাকাটার বিডিও অফিসে হওয়া ওই সর্বদলীয় বৈঠকে এলাকার সবক’টি রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী সংগঠন, ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, পুলিস, দমকল ও স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসন ফালাকাটাকেও লকডাউন ঘোষণা করায় স্বস্তি ফেরে এলাকার মানুষের। ফালাকাটা নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলায় লকডাউনের তালিকায় মোট জায়গা হল তিনটি।
সর্বদলীয় বৈঠক শেষে ফালাকাটার বিডিও সুপ্রতীক মজুমদার বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক করে ব্লক সদর ফালাকাটাকেও লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।
ফালাকাটা থেকে প্রতিবেশী ভুটান খুব বেশি দূরে নয় বলে এলাকার মানুষ এই শহরকেও লকডাউনের তালিকায় রাখার দাবিতে সরব হন। এরপরেই বিভিন্ন মহল থেকে জেলা ও ব্লক প্রশাসন কাছে ফোন যায় ফালাকাটাকে লকডাউন ঘোষণার দাবিতে। সেই দাবির তালিকায় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সংগঠন, রাজনৈতিক দল, স্কুল কলেজ ও সমাজের অন্য অংশের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
ফালাকাটা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নান্টু তালুকদার বলেন, ফালাকাটায় করোনা আরোগ্যের আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে। ভিনরাজ্যে কাজ করা ফালাকাটার বহু মানুষও সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাই সংক্রমণ এড়াতে ফালাকাটাকে লকডাউন ঘোষণার দাবি আমাদেরও ছিল। জেলা প্রশাসন ফালাকাটাকে লকডাউন ঘোষণা করায় আমরা স্বস্তি পেলাম।
তৃণমূল কংগ্রেসের ফালাকাটা ব্লক সভাপতি সন্তোষ বর্মন বলেন, জেলা প্রশাসনের ফালাকাটাকে লকডাউন ঘোষণার দাবিকে আমাদের দল পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে। এর থেকে ভালো সিদ্ধান্ত আর হয় না। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি নারায়ণ মণ্ডল বলেন, লকডাউন শহরের তালিকায় ফালাকাটা যুক্ত হওয়ায় আমরা খুশি। সিপিএম, কংগ্রেস ও এসইউসিও জেলা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।