বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিলিগুড়ির পরিবেশ কর্মী অনিমেষ বসু বলেন, বায়ুদূষণে আমরা অতিষ্ট। এয়ার হর্ন নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তা কেউ তোয়াক্কা করে না। করোনা উদ্বেগের জেরে এদিন গাড়ি না চলায় আতঙ্কের মাঝেও খানিক স্বস্তি মিলেছে। অনেকদিন পর শহরে গার্ড়ি হর্নের বদলে পাখির আওয়াজ শুনলাম। মোটর বাইকের দাপট, সিটি অটোর ঘরঘর শব্দ ছিল না। করোনা নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে। আমরা চাই দ্রুত পরিস্থিতি ফিরে আসুক। তবে প্রকৃতিকে রক্ষা করার দায়ও তো আমাদের। নইলে ভবিষ্যৎ যে বড় ভয়ঙ্কর। তাই মানুষের সচেতন হওয়াটা জরুরি।
দূষণ সমস্যায় জেরবার উত্তর-পূর্বের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ি শহর। পাহাড় থেকে সমতলে নেমে এলেই বাড়ে দূষণ যন্ত্রণা। শিলিগুড়ি শহরের অলিগলিতে দ্রুত গতিতে বিকট আওয়াজে ছুটে চলা মোটর বাইকের শব্দে কমবেশি সকলে আঁতকে ওঠেন। হিলকার্ট রোড, সেভক রোড কিংবা এসএফ রোডের মতো রাস্তায় বাস, অটো, টোটোর দাপট সকাল থেকে চলতেই থাকে। হাসপাতাল মোড় সহ বিভিন্ন ব্যস্ত এলাকায় এয়ার হর্নের শব্দে কানপাতা একপ্রকার দায় হয়ে যায়। সঙ্গে সিটি অটো সহ বিভিন্ন গাড়ির কালো ধোঁয়া যেন দূষণকে বাড়িয়ে দেয়। হঠাৎই দূষণ যন্ত্রণা থেকে যেন ঘুম ভাঙাল আতঙ্কের জনতা কার্ফু। রাস্তাঘাট শুনশান, যানবাহন না চলায় দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমেছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ দপ্তর। মাটিগাড়ার পরিবহণ নগরের পরিবেশ দপ্তর সূত্রে খবর, রবিবার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৯২। যা সন্তোষজনক বলেই জানাচ্ছে পরিবেশবিদরা। পরিবেশ দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দূষণের মাত্রা গ্রীষ্মকালে একটু কমলেও গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং ধূলিকণার জেরে দূষণ বাড়ে। এদিন গাড়ি চলাচল না করায় সেই দূষণ অনেকটাই কমেছে। সঙ্গে বৃষ্টির জেরে আরও খানিকটা স্বস্তি মিলেছে।