রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রবিবার সেই ছবিই ধরা পড়ল জেলার চা বলয়ে। মাদারিহাটের ডিমডিমা থেকে কুমারগ্রামের সংকোশ কিংবা কালচিনির সাঁতালি থেকে ফালাকাটার তাসাটি, জেলার ৬৩টি চা বাগানে এদিন ছিল একেবারে শ্মশানের নীরবতা। চা শিল্পের নিয়ম মোতাবেক, সব বাগানে একই দিনে সাপ্তাহিক ছুটি থাকে না। অর্থাৎ জেলার কোনও ব্লকে চা বাগানের সাপ্তাহিক ছুটি যদি থাকে বুধবার, তাহলে অন্য ব্লকে সাপ্তাহিক ছুটি থাকে শনিবার কিংবা রবিবার।
কিন্তু রবিবার এ নিয়মের কোনও বালাই ছিল না। করোনার আতঙ্কে রবিবার জেলার ৬৩টি চা বাগানের একটি চা বাগানেও কাজ হয়নি। করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে দেশকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে রবিবার জেলার ৬৩ টি চা বাগানের শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনতা কার্ফুতে শামিল হয়। ফলে এদিন কোনও চা বাগানের শ্রমিকই কাজ করতে বাগানমুখো হননি।
তৃণমূল কংগ্রেস চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি প্রভাত মুখোপাধ্যায় বলেন, জীবন আগে, রাজনীতি পরে। জীবন না থাকলে কোনও কিছুই থাকবে না। এটা অন্যদের মতো চা শ্রমিকরাও বোঝে। তাই করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে জনতা কার্ফুতে চা শ্রমিকরাও সাড়া দিয়েছেন।
আরএসপি প্রভাবিত ডুয়ার্স চা বাগান ওয়ার্কাস ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোপাল প্রধান বলেন, করোনার করাল গ্রাস থেকে বাঁচতে একদিনের জনতা কার্ফুতে শ্রমিকরাও সাড়া দিয়েছেন। কিন্তু বাগান মালিকরাও দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। বাগান মালিকদের উচিত বাগানে কাজ করার সময় শ্রমিকদের মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সাবান দেওয়া।
শুধু শ্রমিকরাই নয়। দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই জনতা কার্ফুর আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছে চা বাগান মালিক সংগঠনগুলিও। ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টেশন অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র অমিতাংশ চক্রবর্তী বলেন, দেশকে করোনার থাবা থেকে বাঁচাতে সরকারের যেকোনও পদক্ষেপকেই আমরা সমর্থন জানাব।