কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, কোয়ারেন্টাইন নিয়ে অনেকের মধ্যে গুজব তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা সেই গুজব দূর করতে ময়দানে নেমেছেন। যাঁরা নির্দেশ মানছেন না, তাঁদের আমরা পুলিস পাঠিয়ে তুলে আনছি।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়ারেন্টাইন দুই ধরনের হয়। এক হোম কোয়ারেন্টাইন। দুই স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইন। যেসব ব্যক্তিকে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মনে হয়, কিন্তু তিনি সুস্থ হতে পারেন, আবার নাও পারেন, তার মধ্যে হয়তো জীবাণু আছে, কিন্তু কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়নি এমন ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে একজন মানুষকে প্রাথমিকভাবে ১৪ দিন এভাবে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়। ১৪ দিন পর্যন্ত কাউকে কোয়ারেন্টাইনে রাখলে যদি তার ভেতরে জীবাণু থাকে তাহলে উপসর্গ দেখা দেবে। কোয়ারেন্টাইন থেকে লক্ষণ প্রকাশ না হলে তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলা হয়। কোয়ারেন্টাইনে রাখা অবস্থায় উপসর্গ দেখা দিলে সেই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নিয়ে যেতে হবে। কোনও ব্যক্তি যখন বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনের সকল নিয়ম মেনে, বাইরের লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে আলাদা থাকেন, তখন সেটিকে হোম কোয়ারেন্টাইন বলা হয়। কোনও ব্যক্তি যদি কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশ, ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসেন, তাহলে তাঁকে হোম কোয়রান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। এক্ষেত্রেও কমপক্ষে ১৪ দিন তিনি কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলবেন। ইতিমধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভিনরাজ্য ও বিদেশ ফেরত কয়েক হাজার বাসিন্দাকে হোম কোয়ারেন্টাইনের থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না। অনেকের মধ্যে এই নিয়ে কোনও সচেতনতা নেই। অনেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ পেতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। একাধিক এলাকায় স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছেএমন অভিযোগ যেতে পুলিস দিয়ে সেই ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে এসে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। মানুষের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টান নিয়ে গুজব ছড়ানোর কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, জেলার অনেকে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন। স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনের অর্থ কোনও ব্যক্তি যখন কারও নির্দেশ ছাড়া নিজে থেকেই সকল প্রকার সামাজিকতা থেকে দূরে সরে ঘরের মধ্যে অবস্থান করেন। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত নাও হতে পারেন। আবার হয়তো তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশ বা ভিনরাজ্যে ভ্রমণও করেননি। বরং, এই ভাইরাস যেন ছড়িয়ে না পড়ে এজন্য নিজেকে আলাদা রাখছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে সাধুবাদ জানানো হয়েছে।