বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শুক্রবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য সরকারের প্রধান সচিব মনীশ জৈন জানিয়েছেন, ৩ মার্চের মধ্যেই পূর্বতন উপাচার্য তাঁর উত্তরসূরীকে অফিসের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন। ২০০৭ সালে প্রণীত গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৯ নম্বর ধারার ৭ নম্বর উপধারার ‘বি’ ক্লজ অনুযায়ী আচার্য তথা রাজ্যপাল এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তাঁকে উপাচার্য পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, একথা জানার পরে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিতে গতি আনাই প্রাথমিক লক্ষ্য। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সুনিশ্চিত করার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেবেন তিনি। বহু গোষ্ঠীতে বিভক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষকে নিয়ে তিনি যে একসঙ্গেই চলতে চান এদিন তাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য।
উল্লেখ্য, পূর্বতন উপাচার্য স্বাগত সেন গত নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখ ইস্তফা দিয়েছিলেন। ছাত্র ভর্তির সমস্যা সমাধানে তাঁর ভূমিকায় যে রাজ্য সরকার মোটেই সন্তুষ্ট ছিল না তা স্পষ্ট হয়ে যায় ১৯ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদহে প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন। সমস্যার যথোপযুক্ত সমাধান না মেলায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন কর্তৃপক্ষের মানসিকতাকে সরাসরি ‘নেতিবাচক’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। ওই ঘটনার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই পদত্যাগ করেন স্বাগত সেন।
তবে প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে না এসে কলকাতায় বসেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করতেন। মাসের পর মাস উপাচার্য ক্যাম্পাসে না আসায় কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। একের পর এক আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অশান্তি ও অস্থিরতাও তৈরি হয়।
সম্প্রতি শিলিগুড়িতে গিয়ে বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে তিনি পৃথকভাবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার কথা উল্লেখ করে জানিয়ে দেন এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্রুত অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে। একই সঙ্গে সার্চ কমিটি গঠন করে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়াও দ্রুত শুরু করবে রাজ্য সরকার। উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন উপাচার্য পেল বিশ্ববিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, ৪ মার্চ মালদহে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মালদহ সফরের আগেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হতে পারে বলে বিভিন্ন মহলে জোর চর্চা চলছিল। শেষ পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে হলেও অন্তত একজন অভিভাবক পেল বিশ্ববিদ্যালয়।