কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কালচিনির বিডিও ভুষণ শেরপা বলেন, চা বাগানের ফুটবল প্রতিভার অন্বেষণে এবং চা বাগান এলাকার পড়ুয়ারা যাতে কোনও অপরাধমূলক কাজের দিকে পা না বাড়ায়, সেই লক্ষ্যেই এই ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্যোগ। এই টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রশাসনের জনসংযোগও চলবে। খতিয়ে দেখা হবে চা বাগান এলাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিও।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে চা বলয়ের মন পেতেই রাজ্য সরকারের নির্দেশেই এই ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। তবে ভোটের দিকে তাকিয়েই চা বাগান এলাকায় এই ফুটবল টুর্নামেন্ট কি না, তা নিয়ে অবশ্য প্রশাসনের কোন কর্তাই মুখ খুলতে চাননি। তবে বিরোধীরা এই টুর্নামেন্টের পেছনে ভোটের ছায়াই দেখতে পাচ্ছে। বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, চা বলয়ের ভোট আমাদের দিকেই আছে। লোকসভা ভোটে চা বলয় আমাদের ঢেলে ভোটও দিয়েছে। তাই বিজেপিকে রুখতেই তৃণমূলের সরকার চা বাগান এলাকায় এই উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এতে কোনও লাভ হবে না।
তৃণমূল কংগ্রেসের কালচিনি ব্লক সভাপতি তথা চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অসীম মজুমদার বলেন, এই টূর্নামেন্টে লাভবান হবে চা বাগানের ছেলেমেয়েরা। বিজেপি চা বাগানের ছেলেমেয়েদের ভালো চায় না। এখানেও তারা রাজনীতির গন্ধ খুঁজছে। রাজ্য সরকারের এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে রাজনীতির কি সম্পর্ক থাকতে পারে?
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট চারটি গ্রুপে এই নকআউট টুর্নামেন্ট হবে। টুর্নামেন্টে ২১টি দলের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপে আছে রাজাভাত, আটিয়াবাড়ি, ভাতখাওয়া, ডিমা, ‘বি’ গ্রুপে আছে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স, রাধারাণী, চুয়াপাড়া, মেচপাড়া, ‘সি’ গ্রুপে আছে নিমতিঝোরা, মধু, চিনচুলা, ভাটপাড়া, কালচিনি, রায়মাটাং এবং ‘ডি’ গ্রুপে আছে ভার্নাবাড়ি, বিচ, সাঁতালি, দলসিংপাড়া, মহুয়া, তোর্সা ও সুভাষিণী চা বাগান।
গ্রুপ পর্যায়ের খেলাগুলি হবে রাজাভাত ফুটবল মাঠ, চুয়াপাড়া হাটখোলা মাঠ, কালচিনি থানা মাঠ ও ভার্নাবাড়ি থানা মাঠে। ৬ মার্চ দু’টি সেমি ফাইনাল ও ৮ মার্চ ফাইনাল খেলা হবে কালচিনি থানা মাঠে। এই টুর্নামেন্টের জন্য জেলা প্রশাসনিক মহলে সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে।