কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক পাল, সেরাজুল হক বলেন, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও চিকিৎসক, নার্স নেই। শুধুমাত্র একজন ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলছে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র আমাদের কোনও কাজে লাগছে না। আগে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত চিকিৎসকরা বসতেন। আমরা চাই এখানে নিয়মিত চিকিৎসক, নার্স আসুক। এলাকার গরিব মানুষ প্রায় ৩৫ কিমি দূরে দিনহাটা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা দেওয়া হয়েছে।
ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট চন্দ্রেশ্বর মণ্ডল বলেন, এখানে সপ্তাহে দু’দিন গ্রুপ ডি কর্মী আসেন। চিকিৎসক নিয়মিত না আসায় এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিষ্ণুপদ সরকার বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি অবহেলায় পড়ে রয়েছে। একজন ফার্মাসিস্ট দিয়ে কোনওরকমে চলছে। সীমান্তের কাঁটাতারের ওপাড়ে অনেক পরিবার বসবাস করে তাঁদের দিনহাটায় গিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে হচ্ছে। সরকার সীমান্তের গরিব মানুষের কথা ভেবে এখানে স্থায়ীভাবে চিকিৎসক ও নার্স দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।
দিনহাটা-২’র বিএমওএইচ কেশব রায় বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেতা ফজলে হক মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর উদ্যোগে দিনহাটা-২ ব্লকের সীমান্ত এলাকার মানুষদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য জন্য নয়ারহাট, নাজিরহাট এলাকায় একাধিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে ওঠে। সেসময় প্রায় সাত বিঘা জমি নিয়ে সুকারুকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি করা হয়। পরবর্তীতে ভালোভাবেই চলছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি। কিন্তু বাম জামানার শেষের আগে থেকে কুর্শাহাটের থরাইখানা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবার মান পড়তে শুরু করে। বর্তমানে একজন ফার্মাসিস্ট দিয়ে কোনওরকমে ধুঁকছে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র।