গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তুফানগঞ্জ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সচিব চানমোহন সাহা বলেন, টাকা পেলেই গ্যালারি তৈরির কাজ শুরু করা যাবে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তমসের আলি বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন গ্যালারিটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। তারপর ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদল হলে আমাদের হাত থেকে ক্ষমতাও চলে যায়। আমরা ক্ষমতায় থাকলে এতদিনে দ্বিতীয় গ্যালারি তৈরি হয়ে যেত।
বিজেপির তুফানগঞ্জ শহর মণ্ডল কমিটির সভাপতি রিপন পাল বলেন, তৃণমূল নেতাদের উন্নয়নের কাজ করার কোনও মানসিকতা নেই। আমরা ক্ষমতায় এলে বাসিন্দাদের দাবি পূরণে উদ্যোগী হব। তৃণমূলের তুফানগঞ্জ টাউন ব্লক কমিটির আহ্বায়ক শিবপদ পাল বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পরে তুফানগঞ্জ শহরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আরও কিছু কাজ বাকি আছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর নিশ্চই মাঠে দ্বিতীয় গ্যালারি তৈরি করবে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, তুফানগঞ্জ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে দ্বিতীয় গ্যালারি তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি আমরা আগামী অর্থবর্ষে দেখব।
তুফানগঞ্জ শহরের মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে সারা বছরই ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, অ্যাথলেটিকস সহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলো হয়। প্রতিটি খেলাতেই দর্শকরা আসেন। মাঠের একদিকে একটিমাত্র গ্যালারি রয়েছে। সেদিকেই সকলে গিয়ে বসতে চান। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা দ্বিতীয় গ্যালারি তৈরি করার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে। তুফানগঞ্জ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় গ্যালারি তৈরির জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকার একটি প্ল্যান এস্টিমেট করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাদের দাবি, কোনও সাড়া তারা এখনও পায়নি।
খেলাধুলোর জগতে তুফানগঞ্জ শহরের বেশ নামডাক রয়েছে। এখান থেকেই কয়েকজন খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক জায়গায় পৌঁছেছে। তাঁদের মধ্যে শিবশঙ্কর পাল, অনন্ত সাহা জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলেছেন। সারা বছরই তুফানগঞ্জ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে খেলাধুলো হয়। বসার জায়গার অভাবে দর্শকরা দাঁড়িয়ে কিংবা বসে খেলা দেখেন।