বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিজেপির সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমার তহবিলের আড়াই কোটি টাকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। জেলা প্রশাসনের কর্তারা শাসক দলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের নির্দেশে সেই টাকা খরচ করছেন না। এনিয়ে দ্রুত আমরা আন্দোলনে নামব। আড়াই কোটি টাকার প্রকল্প বানানো হয়েছে। প্রশাসনের উদাসীনতায় সেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
জেলা শাসক নিখিল নির্মল বলেন, সংসদ তহবিলের টাকা জেলা এসেছে কিনা জানা নেই। খোঁজ না স্পস্ট করে কিছু বলতে পারব না। জেলার উন্নয়নের জন্য আমরা দিনরাত পরিশ্রম করছি। উন্নয়নের টাকা ফেলে রাখার কোনও বিষয় নেই।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন সংসদ সদস্য অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমি যখন সংসদ সদস্য ছিলাম, তখন কেন্দ্রের সরকারের বিরোধী দলে ছিলাম। আর এখন সুকান্তবাবু তো কেন্দ্রের শাসক দলেরই সংসদ সদস্য। তিনি কেন জেলার উন্নয়নে টাকা খরচ করতে পারছেন না, তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এনিয়ে আমার কিছু বলার নেই। জেলার উন্নয়নে আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে আসছি। সুকান্তবাবু যদি বলে থাকেন, আমরা টাকা খরচ করতে দিচ্ছি না, তবে একদম অপপ্রচার করা হচ্ছে।
শুক্রবার বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে সুকান্তবাবু দাবি করেন, জেলায় এইমসের ধাঁচে একটি হাসপাতাল ও একটি মেডিক্যাল কলেজ গঠনের কথা তিনি জেলা প্রশাসনকে বলেছিলেন। সেজন্য জেলা প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখতে হয়। কিন্তু সে কাজটুকুই করছে না প্রশাসন। এছাড়া জেলাজুড়ে আমরা বহু সংখ্যক পথবাতি লাগানোর প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সেব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেয়নি জেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে জেলাশাসক নিখিল নির্মল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সব কাজেরই কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেসব নিয়ম মেনে এগলে নিশ্চয় কাজ হবে।
বিজেপির সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদারকে লোকসভায় একাধিক বিষয়ে সরব হতে দেখতে পান জেলার বাসিন্দারা। তবে তিনি ভোটে জিতে সংসদ সদস্য হওয়ার প্রায় এক বছর হতে চলেছে। এই একবছরে নিজের তহবিলের টাকায় এখন পর্যন্ত জেলার উন্নয়নে কোনও কাজ তিনি করতে পারেননি।