কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে সেই বৈঠক যখন চলছে, তখনই ডানলপ মোড়ে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পঞ্চায়েতের সদস্য সহ একাধিক পদাধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বৈঠক করেন। তৃণমূলের সেই বৈঠকে উপস্থিত বিজেপির নেতারা দাবি করেন, বিজেপি তাঁদের কোনও সন্মান দিচ্ছে না। দলে একনায়কতন্ত্র চলছে। তাই তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করছে চাইছেন। যদিও এদিন কেউ তৃণমূলে যোগদান করেননি। অর্পিতা ঘোষ তাঁদের জানিয়ে দেন, কিছুদিনের মধ্যে বিজেপির আরও নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগদান করবেন। সবাইকে নিয়ে বড় একটি যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। সেখানেই তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে দলে নেওয়া হবে। দলের ভাঙন রুখতে যে সময়ে বিজেপি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, সেই সময়ে তৃণমূল আবার গেরুয়া শিবিরে বড় ফাটল তৈরি করায় তা বিজেপির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, শুক্রবার বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আরও অনেকে আসতে চাইছেন। আমরা একটি বড় যোগদান কর্মসূচি করব। সেখানে তাঁদের দলে যোগদান করাব। বিজেপির আর কিছু নেই। আমাদের দল এখন প্রচুর শক্তিশালী। কিছু ব্যক্তি গুজব তৈরি করে দলের কর্মীদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে। তবে আমরা কোনওভাবেই তা হতে দেব না।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, আগামী দুই পুরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এদিন বৈঠক করা হয়েছে। যাঁরা দলত্যাগ করছেন, তাঁদের ধরে রাখা সম্ভব নয়। তাঁরা সবাই স্বার্থপর। এই দলের নীতি রয়েছে। যাঁরা নীতি মানছেন না, তাঁরাই চলে যাচ্ছেন। বৈঠকে আলোচনা হয়েছে যদি কারও কোথাও সমস্যা থাকে, তবে জেলার নেতারা তা শুনে যেন সমাধান করে দেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিজেপিতে যে ভাঙন শুরু হয়েছে, তা রুখতেই এদিন ওই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলে মধ্যে কেন কোন্দল তৈরি হচ্ছে, নেতাদের অভাব-অভিযোগ থাকলে তা শুনে নিয়ে কেন মেটানো হচ্ছে না, এসব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে এদিনই বিজেপির বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ জেলা বিজেপির কয়েকজন নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রাক্তন জেলা কমিটির সদস্যের এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। যদিও পরে বড় করে যোগদান কর্মসূচি করা হবে বলে এদিনের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে। পুরভোটের আগে এই ভাঙন রুখে সাংগঠনিকভাবে বিজেপি কতটা শক্তিশালী হতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।