দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
উদ্ধারকারী যুবকদের পক্ষ থেকে তারাশঙ্কর রায় বলেন, ওই ভবঘুরে ব্যক্তির নাম গুগুলি শর্মা। তিনি আদতে বিহারের কাটিহার জেলার আজমনগর থানা এলাকার রাঘল গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এসে পড়েন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মালদহের হবিবপুর ব্লকের গুপ্তিনাথপুর এলাকায়।
তারাশঙ্করবাবু বলেন, আমরা ২০১৬ সাল থেকে এই ধরণের মানুষদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানোর কাজ করে আসছি। বিষয়টি হবিবপুর-বামনগোলার অনেকেই জানেন। গুগুলি শর্মাকে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ঘুরে বেড়াতে দেখে স্থানীয় কিছু মানুষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা তাঁকে উদ্ধার করে আনি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শুশ্রুষার পরে ধীরে ধীরে ওই ব্যক্তি তাঁর নিজের পরিচয় স্মরণ করে জানায় উদ্ধারকারী যুবকদের। আর দেরি না করে স্থানীয় থানার আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারাশঙ্কর রায় ও তাঁর বন্ধুরা। পুলিস ওই ভবঘুরের খোঁজখবর নিতে শুরু করে। ওই যুবকরাও হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি। তাঁরাও গুগল ব্যবহার করে গুগলি শর্মার তল্লাশি শুরু করেন। খোঁজ মেলে ওই এলাকার এক মুদিখানার দোকানদারের। তাঁর মাধ্যমে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই যুবকরা। একই সঙ্গে হবিবপুর পুলিসের পক্ষ থেকেও যোগাযোগ করা হয় বিহারের আজমনগর থানার সঙ্গে।
যৌথ প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত গুগলি শর্মার স্ত্রী সহ তাঁর পরিবারে সাত সদস্য বৃহস্পতিবার হাজির হন তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য।
তাঁকে উদ্ধার করার পর থেকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ওই ভবঘুরে ব্যক্তির থাকা খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন ওই যুবকরাই। তারাশঙ্কর রায় বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ২৭জন ভবঘুরে ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত পুরুষ ও মহিলাকে তাঁদের পরিবারে কাছে ফেরত পাঠিয়েছি। কোনও সরকারি সাহায্য নয়, নিজেদের পকেট খরচ বাঁচিয়েই আমরা এই উদ্ধারকার্য চালাই।
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ওই যুবকরা প্রশংসনীয় কাজ করছেন। পুলিস তাঁদের সব রকম ভাবে সাহায্য করবে।
পুলিসের এক কর্তা বলেন, ওই যুবকরা যা করছেন তার সত্যিই তারিফ করতে হয়। সাধারণত ভবঘুরে বা মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের অনেকেই ভুল করে নির্যাতন করে। তারাশঙ্কর ও তাঁর বন্ধুদের উদ্যোগে এই ধরণের ঘটনা রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।