পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অন্যদিকে, গণ্ডারদের বাঁচাতে ও জাতীয় উদ্যানে বাইরে থেকে আবর্জনা না ফেলতে এবার এগিয়ে এল পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলিও। জঙ্গলের ভিতর বাইরের যেকোনও ধরনের বর্জ্য না ফেলতে বৃহস্পতিবার জলদাপাড়া প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে মাদারিহাটের নাগরিক সমাজ, বেসরকারি পর্যটন সংস্থাগুলি ও বনদপ্তরের মধ্যে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, জাতীয় উদ্যান এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক। গত এক সপ্তাহে ২০টি গণ্ডার এবং ৭৮টি কুনকি হাতিকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তিতির জঙ্গলে থাকা বিবাগী গণ্ডারটিকেও জাতীয় উদ্যানের মূল ভুখণ্ডে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এদিকে, ঠিক কোন ধরনের জীবাণুর সংক্রমণে পাঁচটি গণ্ডারের মৃত্যু হয়েছে বনদপ্তরের কাছে এখনও তা অজানা। গণ্ডারদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে ল্যাব থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই মৃত্যু অ্যানথ্রাক্সে হয়নি। ডিএফও বলেন, আমরা এখনও গণ্ডারদের মৃত্যুর কারণ জানি না।
এদিন জলদাপাড়া প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে হওয়া সেমিনারে মাদারিহাটের নাগরিক সমাজ ছাড়াও স্থানীয় ট্যূরিস্ট গাইড, লজ মালিক ও প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনগুলির সদস্যরা যোগ দেন। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন এদিনের এই সেমিনারের উদ্যোগ নেয়। সেমিনারে অভিযোগ ওঠে মাদারিহাটের যাবতীয় আবর্জনা জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলের ভিতরে ফেলা হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশনের অন্যতম কর্তা বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, গণ্ডার ও জাতীয় উদ্যানকে বাঁচাতে জঙ্গলের ভিতরে যাতে কোনও ধরনের আবর্জনা ফেলা না হয় তার জন্য আমরা সব মহলের কাছে যাব। উত্তরবঙ্গে পর্যটন মহলে পরিচিত মুখ রাজ বসু বলেন, গণ্ডারকে বাঁচাতে ও জঙ্গলকে দুষণমুক্ত করতে আমরা এবার ডুয়ার্স জুড়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেব।