গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, নেতাজি ইন্ডোরের সভা তৃণমূলের সংগঠনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। দিদিকে বলোর পর সংগঠন বিস্তারের লক্ষ্যে ফের দলের তরফে নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে বলে তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন। প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক প্রসূত ওই কর্মসূচি পুরসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের নেতাকর্মীদের অক্সিজেন দেবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন। পাশাপাশি দলের তরফে নেতাকর্মীদের বাড়তি দায়িত্বও দেওয়া হবে। ফলে ওই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সক্রিয় কর্মীদের অংশ নেওয়াটা জরুরি বলে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন। সেক্ষেত্রে জেলার সক্রিয় নেতাকর্মীদের প্রবেশপত্র না পাওয়া অনভিপ্রেত বলে তাঁরা মনে করেন।
এ ব্যাপারে অম্লানবাবু বলেন, নেতাজি ইন্ডোরে নতুন কর্মসূচির বিষয়টি ঘোষণা হতে চলেছে। এবার এলাকা ভিত্তিক র্যা লি করতে হবে। তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে ওই র্যা লি বের হবে। ২ মার্চের কলকাতার সভায় সেব্যাপারে রূপরেখা স্থির হবে। ওই সভায় মালদহের বিভিন্ন ব্লক এবং জেলা স্তরের বেশ কিছু নেতা এবং সক্রিয় কর্মীর প্রবেশের অনুমতি মেলেনি। তবে ওই তালিকা আমরা ঠিক করিনি। প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফে তালিকা তৈরি হয়। নাম বাদ পড়ার বিষয়টি আমরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব। সক্রিয় নেতাকর্মীদের যাতে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়, তার অনুরোধ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এদিনের সভায় মালদহ জেলার ব্লক ও অঞ্চল স্তরের নেতা মিলিয়ে মোট প্রায় ৬০০ জন যোগ দেন। অঞ্চল ও ব্লক সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি যোগ দেন। তাঁদের হাতে প্রবেশপত্র তুলে দেওয়া হয়।
জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, সক্রিয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কোনও কর্মসূচি সফলভাবে রূপায়ণ করা যায় না। বিষয়টি দলের রাজ্য নেতৃত্বের মাথায় রাখা উচিত ছিল। নেতাজি ইন্ডোরের গুরুত্বপূর্ণ সভার প্রবেশপত্র ইস্যু করার আগে একবার জেলা নেতাদের তালিকা দেখিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। তাতে তালিকা সংশোধনের সুযোগ পাওয়া যেত। সেইমতো প্রবেশপত্র বিলি করলে অসুবিধা হতো না।