কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, এটা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে ঠিকই তবে ইউপিএইচসি থেকেই দেওয়া হবে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল ও শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, আমি এনিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখব। শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য সিপিএমের শঙ্কর ঘোষ বলেন, অবিলম্বে আমি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব। আমাদের হেল্থ অফিসাকে নিয়ে একটি সাধারণ নিয়ম করার ব্যাপারে আলোচনা করব যাতে গর্ভবতী মায়েরা সমস্যায় না পড়েন। পাশাপাশি আমরা শিবির করে মায়েদের সচেতনও করব।
একজন মহিলা মা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারলে হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসক দেখালে সেখানেই ডাক্তারবাবুর পরামর্শে তাঁকে টিডি টিকা দেওয়া হয়। এই টিকা গর্ভবতীরা পুরসভা পরিচালিত ইউপিএইচসি থেকেও নিতে পারেন। প্রথম টিডি টিকা দেওয়ার ২৮-৩০ দিনের মধ্যে ওই একই ডোজের টিকা মায়েদের দ্বিতীয়বার নিতে হয়। এই টিকা নিলে মা ও গর্ভস্থ সন্তান সুরক্ষিত থাকে। কোনও এলাকায় ইউপিএইচসি থাকলে সেক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে এমসিপি কার্ড ইস্যু করা হয় না। টিকা সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাই কার্ডের পরিবর্তে আউটডোর থেকে দেওয়া টিকিটেই লেখা থাকে। কিন্তু পুরসভা পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দিলে ওই কার্ড গর্ভবতীকে দেওয়া হয়। যা নিয়ে পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়া যায়। কোনও গর্ভবতী দু’টি টিকার একটিও যদি ইউপিএইচসি থেকে না নেন তবে পুরসভা এমসিপি কার্ড ইস্যু করে না। এমসিপি কার্ড না থাকলে পরবর্তীতে হাসপাতাল কিংবা মেডিক্যালের আউটডোরে আসা গর্ভবতীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের বলা হচ্ছে এমসিপি কার্ড নিয়ে আসতে হবে। ওই কার্ড কোথায় পাওয়া যাবে? আউটডোর থেকেই প্রসূতিদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিলবে। কিন্তু গর্ভবতীরা যখন এমসিপি কার্ড নিতে ইউপিএইচসিতে আসেন তখন তাঁদের সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা কার্ড ইস্যু করতে পারবেন না।
এবিষয়ে পুরসভা পরিচালিত ইউপিএইচসি’র কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁদের হাত-পা বাঁধা। এখান থেকে টিডি টিকা না নিলে এমসিপি কার্ড দেওয়া যাবে না। কারণ কার্ডে সেন্টারের কোড থাকে। টিকা সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে নথিভুক্ত হয়। তাই ওপর মহল থেকে নির্দেশ না এলে অতিরিক্ত একটি কার্ডও কাউকে দেওয়া সম্ভব নয়।
এমন অবস্থায় হাসপাতালের আউটডোরে পরিষেবা মিলছে না। যা নিয়ে গর্ভবতী মহিলারা বিপাকে পড়ছেন। গর্ভবস্থায় শারীরিক সমস্যাগুলি নিয়ে হাসপাতালে গেলে কার্ড নিয়ে এলেই চিকিৎসক দেখবেন বলে জানানো হচ্ছে। গোটা প্রক্রিয়াটিতে পুরসভার সঙ্গে স্বাস্থ্যদপ্তরের সমন্বয়ের অভাবকেই চিকিৎসক মহল দাবি করেছে।