গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালুরঘাট শহরের এক বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেন, বুধবার জেলা পুলিস সুপারের বৈঠকের কথা শুনেছি। আমাদের স্কুলে তিনটি পুরনো বাস ছিল। সেই বাসগুলি আর না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকদিন বাসগুলি চলবে। এরপরে স্কুলের তরফ থেকে কোনও বাস চালানো হবে না।
নমিতা সরকার নামে এক অভিভাবক বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, পুলকারগুলি খুব দ্রুত গতিতে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে। পুলকারের ভেতরে আসন সংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সে ব্যাপারে আগেও আমরা পুলকার চালকদের জানিয়েছি। এখন পুলিস প্রশাসনের হুঁশিয়ারির পরে হয়ত সবারই হুশ ফিরবে। তবে শুধু প্রশাসন নয়, অভিভাবকদেরকেও পুলকারের ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত।
এব্যাপারে ডিএসপি ট্রাফিক অরিন্দম পাল চৌধুরী বলেন, গতকালের বৈঠকে কোন স্কুল কর্তৃপক্ষই আমাদের এইব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। কেউ যদি স্কুলের বাস বন্ধ করে দেয়, সেক্ষেত্রে হয়ত তারা বিকল্প ব্যবস্থা নেবে। তবে সব স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রশাসনের নির্দেশ মতই চলতে বলা হয়েছে। কারণ একটি শিশুর জীবন স্কুল বাসগুলির থেকেও অনেক দামি। তাই এই ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে আঞ্চলিক কেন্দ্রীয় পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক সন্দীপ সাহা বলেন, পুলকারগুলি একটি নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে যাতায়াত করে। সেসময় তাদের আটকালে পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যেতে পারে। তাই অনেকদিন ধরে গাড়িগুলিকে দাঁড় করিয়ে কাগজপত্র খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। তাই এবার সবাইকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ জেলার সমস্ত পুলকার ও স্কুলের বাসগুলিকে বালুরঘাটের হাইস্কুল মাঠে আসতে বলা হয়েছে। সেখানে গাড়িগুলি খতিয়ে দেখে বৈধ কাগজপত্র দেওয়া হবে।
এই ব্যাপারে শ্যামল রায় নামে এক পুলকার চালক বলেন, প্রশাসন আমাদের সময় দিয়েছে। এই কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের গাড়ির কাগজপত্র ঠিক করে নেব।
সূত্রের খবর, বালুরঘাট শহরেজুড়ে প্রায় ১০টি পুলকার ও প্রায় ৩৫টি স্কুলের বাস চলাচল করে। যেগুলির অধিকাংশই বাইরে থেকে ঝাঁ চকচকে দেখতে হলেও সেগুলি বহুদিন ধরেই চলাচল করছে বলে জানা গিয়েছে। কোনও গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া বের হতেও দেখা যায়। প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ১০ বছরের বেশি পুরোনো কোনও গাড়ি পড়ুয়া পরিবহণ করতে পারবে না। এছাড়াও দ্রুত গতিতে পুলকার চলাচল এবং সিট সংখ্যার থেকে বেশি শিশুদের নিয়ে যাতায়াত করা রুখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈধ কাগজপত্র না থাকলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
এব্যাপারে অধিকাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষই জানিয়েছে, তাদের বাস ও পুলকারগুলি সব ঠিকঠাক রয়েছে। এক বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষা বলেন, আমাদের সব গাড়িই প্রায় নতুন এবং কাগজপত্রও সব ঠিক আছে। প্রশাসনের নির্দেশক্রমেই আমাদের গাড়িগুলি চলাচল করে। আমরা আগে থেকেই সজাগ রয়েছি।